পরিবেশ নিয়েও কলকাতা তথা বাংলা থেকে আওয়াজ উঠুক: সোনম ওয়াংচুক

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: গাছকাটার ক্ষেত্রে কড়া নিয়ম করেছে বাংলা। এর থেকে প্রেরণা নিক দেশ। কলকাতায় পা দিয়ে বললেন সোনম ওয়াংচুক। পাশাপাশি শোনালেন পরিবেশের ‘আল ইজ় নট ওয়েল’-এর কথা। ৫৮ বছরের এই মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার তথা উদ্ভাবক বললেন, ‘‘দেশের সরকার হল ‘আলাদিনের জিন’, আমরা যা চাইব সে সেটাই দেবে। আর আমরা হলাম আলাদিন। আমরাই কখনও জিনের কাছে বিশুদ্ধ বাতাস, পরিশুদ্ধ পানীয় জল চাইনি। তাই সরকারও দেওয়ার কথা ভাবেনি। তাই আলাদিন অর্থাৎ, মানুষের চাহিদাকে বদলাতে চাই, জিনকে নয়।’’
বৃহস্পতিবার মহাবোধি সোসাইটিতে জলবায়ু পরিবর্তন ও লাদাখ নিয়ে একটি আলোচনায় অংশ নেন তিনি। সিনেমার পর্দার ‘র্যাঞ্চো’ লাদাখের জন্য অনশনে বসেছিলেন। তিনি কলকাতায় এসে বলেন, ‘আমি ধন্যবাদ যাত্রায় বেরিয়েছি। গোটা দেশের মানুষের কাছ থেকে অকুণ্ঠ ভালোবাসা পেয়েছি। এবার আমি দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানাতে বেরিয়েছি।’ বাংলার সরকারের উদ্দেশে তাঁর বক্তব্য, ‘আমি বাংলার সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে চাই, আপনারা আগামীর জন্য উদাহরণ তৈরি করুন। আমি শুনেছি, এখানে গাছকাটার ক্ষেত্রে কড়া নিয়ম করা হয়েছে। এর থেকে প্রেরণা নিয়ে যেন দেশ, বিশ্বে বদল আসে। মানুষের উচিত, এমন সিদ্ধান্তের পাশে থাকা।’
‘সেভ হিমালয়’! ‘সেভ লাদাখ’! স্লোগানের মাধ্যমে পরিবেশ কর্মীরা এদিন স্বাগত জানান সোনমকে। মঞ্চে উঠে তাঁর বক্তব্য, ‘বাংলার মাটি থেকে অনেক আন্দোলনের উৎপত্তি হয়েছে। আমি চাই, পরিবেশ নিয়েও কলকাতা তথা বাংলা থেকে আওয়াজ উঠুক।’ লাদাখ এলাকায় হড়পা বানের কথা উঠে আসে তাঁর মুখে। তিনি বলেন, ‘যেখানে আমার স্কুল রয়েছে, তার ঠিক পিছনের গ্রামে প্রথম ২০০৬ সালে হড়পা বান আসে। আমরা স্কুলের লোকেরা মিলে সেখানে ত্রাণ নিয়ে গিয়েছিলাম। তখন সকলেই বলছিল, এমন বানের কথা শুনেছি আগে কিন্তু কখনও দেখিনি। কিন্তু তারপর থেকে ২০১০, ২০১৩, ২০১৭ সালে ওই বান হল। তার মানে বোঝাই যাচ্ছে, লাদাখের কী অবস্থা!’ ওয়াংচুকের আরও বক্তব্য, এই হিমালয়ের উপর প্রায় ২০০ কোটি মানুষ নির্ভর করেন। হিমালয়কে না দেখলে তীব্র জলসঙ্কট তৈরি হবে। পশ্চিমবঙ্গের ‘ফ্রেন্ডস অব লাদাখ, ফ্রেন্ডস অব নেচার’ নামের পরিবেশ কর্মীদের সংগঠনের উদ্যোগে এই আলোচনায় সভায় উৎসাহীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।