বেঁধে দেওয়া হল টার্গেট! লক্ষ্যপূরণে কীভাবে ঝাঁপাচ্ছে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তর?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: রাজ্যের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তর এবার রাজস্ব সংগ্রহের উপর বিশেষ নজর দিচ্ছে। জেলাগুলিতে ছড়িয়ে থাকা বেআইনি বালি ও পাথর খাদান, ইঁটা ভাটাগুলি থেকে রাজস্ব সংগ্রহের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে রাজ্য। জেলাগুলিকে চলতি আর্থিক বছরে ১১৬০ কোটি ৫৯ লক্ষ টাকা রাজস্ব সংগ্রহের টার্গেট বেঁধে দিয়েছে রাজ্যের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তর।
পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূমের ওপর রাজস্ব আদায়ের বিষয়ে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। মূলত হত এই তিন জেলাতেই বেশি পাথর ও বালি খাদান রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেআইনি খাদান বন্ধে একাধিকবার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রকাশ্যে তিনি অভিযোগ করেছেন, বেআইনি খাদানের সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনের একাংশ জড়িত। প্রশাসনকে চাপে রাখতে বেআইনি খাদান বন্ধে রাজস্ব সংগ্রহ বাড়ানোর টার্গেট স্থির করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
ভূমি রাজস্ব দপ্তর পূর্ব বর্ধমানকে ২১৩ কোটি ১৪লক্ষ টাকা, বীরভূমকে ২৬৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা এবং পশ্চিম বর্ধমানকে ১৩১ কোটি ২৪ লক্ষ টাকার রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্র ঠিক করে দিয়েছে। বাঁকুড়াকেও সাড়ে ষাট কোটি টাকার রাজস্ব সংগ্রহের টার্গেট দেওয়া হয়েছ। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বালি খাদান না থাকলেও রয়েছে বেআইনি ইঁট ভাটা রয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনাকে ৬৩ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা এবং উত্তর ২৪ পরগনাকে ৩৯ কোটি ৫৭ লক্ষ টাকার রাজস্ব সংগ্রহের টার্গেট দেওয়া হয়েছে। ঝাড়গ্রামকে ৭৩ কোটি ৪৯ লক্ষ টাকার রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্য দেওয়া হয়েছে। হুগলিকে ২৮ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা, হাওড়াকে ৪২ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকা এবং মুর্শিদাবাদকে ৩৭ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকা রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্র ঠিক করে দিয়েছে ভূমি রাজস্ব দপ্তর।