ঝাড়গ্রাম জেলা মেলা ও যুব উৎসব এবার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করছে, ২৩ জানুয়ারি সূচনা

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: ঝাড়গ্ৰাম স্টেডিয়ামের পার্শ্ববর্তী রাস্তার দু’পাশে চোখজুড়ানো শালবিথী। সামনের কয়েকদিন এই এলাকা কোলাহলমুখর হয়ে উঠবে। ঝাড়গ্রাম জেলা মেলা ও যুব উৎসব এবার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছে। আগামী ২৩ জানুয়ারি ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণে সুভাষচন্দ্র বসুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হবে। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা দুপুর ১২টায় শহর পরিক্রমা করবে। উৎসবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নানা ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।

জেলার নানা প্রান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা তাঁদের পসরা নিয়ে আসা শুরু করে দিয়েছেন। উৎসবের আয়োজনে তিনটি মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। ঘোড়াধরা পার্কের ভিতর মূল মঞ্চটি অসিত পাল ও দিলীপ দাসের স্মরণে রাখা হয়েছে। ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামের ভিতর মঞ্চের নামকরণ করা হয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও রতন টাটার নামে। তৃতীয় মঞ্চটির নামকরণ করা হয়েছে কুনার হেমব্রম ও মন্মথো মাহাতর নামে। পঞ্চাশ বছর আগে ঝাড়গ্রাম শহরের কিছু যুবকের হাত ধরে ঝাড়গ্রাম মেলা ও যুব উৎসবের সূচনা হয়।
ঝাড়গ্রাম জেলা ঘোষণা হওয়ার পর ‘জেলা’ শব্দটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। প্রতিবারের মতো মেলা ও যুব উৎসব ঘিরে এবারও উৎসাহ উদ্দীপনা তুঙ্গে। সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে উৎসব অনুষ্ঠানের আয়োজনের তোড়জোড় এবার বেশি। জেলার লোকশিল্পীরা ধামসা মাদল সহকারে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করবেন। মহিলা ঢাকিরা বোল তুলবেন ঢাকে। সুসজ্জিত ৫০টি টোটো একই সঙ্গে পথ পরিক্রমা করবে। উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে শহরের বাসিন্দারা শোভাযাত্রায় পা মেলাবেন। উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতায় ভলিবল, ককবাডি, খো-খো, তিরন্দাজি, দৌড়, লৌহ বল নিক্ষেপ, বর্ষা নিক্ষেপ, ডিসকাস থ্রো ও যোগা রয়েছে। সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার মধ্যে গান, আবৃত্তি, নৃত্য, অঙ্কন, তবলা ও ক্যুইজ থাকছে। দিদি নম্বর ওয়ানের মতো বিশেষ আকর্ষণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। মেলায় নানা ধরনের জিনিসপত্র, খাবারের দোকান বসবে। বিনোদনের জন্যেও নানা আয়োজন রয়েছে।