আরজি কর আন্দোলনের ‘নিখুঁত’ চিত্রনাট্য রচনা করতে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, ঝুলি থেকে বেরিয়ে পড়ল বিড়াল!

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: গত আগস্টে আর জি কর কাণ্ডের পর দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশ চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করেছিল সঞ্জয় রায়কে। সে সময় ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগানে রাস্তা মুখর করেছিল একদল। প্রশ্ন উঠছে, ওই স্লোগানও কি তবে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির তৈরি করা? ‘ইনোভেডরস’ নামে একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থাকে আর জি কর আন্দোলন পরিচালনা ও প্রচারের জন্য জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট দফায় দফায় টাকা দেয় বলে অভিযোগ।
‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগানও ইভেন্ট সংস্থাটির তৈরি করা বলে অভিযোগ। আগস্টে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যু হতেই বাজার থেকে ‘ক্রাউড ফান্ডিং’ করে কোটি কোটি টাকা তোলে জেডিএফ বা জুনিয়র ডক্টর ফ্রন্ট। দেখা যায়, মোমবাতি মিছিল, দেওয়াল-রাস্তা জুড়ে একের পর এক গ্রাফিত্তি। এরপর ড্রোন ক্যামেরায় সেইসব ভিডিও তুলে সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। সুচারুভাবে দেখানোর চেষ্টা হয়, শহরজুড়ে যেন একটা প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। এখন দেখা যাচ্ছে, অর্থ ঢেলে তৈরি করা হয়েছিল সেই নকল ঝড়। এই সবকিছুর নেপথ্যে বেসরকারি একটি এজেন্সি। গত ৪ অক্টোবর শুভদীপ সরদারের অ্যাকাউন্ট থেকে সেই বেসরকারি এজেন্সি ইনোভেডরসকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
এখানেই শেষ নয়, ওইদিনই ইনোভেডরস-এর কর্ণধার অর্ণব পালের অ্যাকাউন্টে আরও ১ লক্ষ ১৬ হাজার টাকা পাঠানো হয় চেকের মাধ্যমে। সাংবাদিক তমাল সাহা তাঁর সংবাদ পোর্টালে ফাঁস করেছেন এই তথ্য। ইনোভেডরসকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল আর জি কর নিয়ে আন্দোলন অ্যারেঞ্জ করার।
জুনিয়র ডক্টর ফ্রন্টের ‘আর জি কর আন্দোলন’-এর এই চিত্রনাট্য ফাঁস হতেই চরম অস্বস্তিতে ফ্রন্টের সদস্য জুনিয়র ডাক্তাররা। ঝুলি থেকে বিড়াল বেরতেই জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের সদস্যদের দিকে আঙুল তুলেছে নাগরিক সমাজও। এই আন্দোলনকে সহজাত, আবেগপ্রবণ ভেবে যাঁরা রাস্তায় নেমেছিলেন। সত্য ফাঁস হতে তারা বিস্মিত, ক্ষুব্ধ। এই ঘটনা সামনে আসতেই তাঁদের অনেকেই জানিয়েছেন, টাকা ঢেলে আন্দোলনের শুটিং। ইডিকে এই ঘটনায় অবিলম্বে যুক্ত করা উচিত।