লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দূষণ! ফুসফুসের যত্ন নেবেন কীভাবে?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দিন যত এগোচ্ছে, ততই দূষিত হয়ে পড়ছে পৃথিবী। শ্বাসকষ্ট বা অ্যালার্জিঘটিত অসুখ যাঁদের রয়েছে, তাঁরা সুস্থ থাকবেন কী করে?
সুস্থ থাকতে মাস্ক ছাড়া অন্য কোনও গতি নেই। ভিড়ের মধ্যে কার, কী সংক্রমণ আছে, কার নেই কেউ জানে না। মাস্ক ছাড়া নিজেকে রক্ষা করার অন্য উপায় নেই।
পাতলা সুতির মাস্ক বা সার্জিক্যাল মাস্ক পরতে হবে। সার্জিক্যাল মাস্ক ডিসপোজেবল। একবার ব্যবহার করে ফেলে দিন। সুতির মাস্ক এসেই কেচে শুকিয়ে ফেলতে হবে। একই মাস্ক ১২ঘণ্টার বেশি পরা যাবে না। ভিজে মাস্ক পরবেন না। পরের দিন নতুন মাস্ক নিন। মনে রাখবেন, দামি ওষুধের খরচ এড়াতে চাইলে মাস্কের প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চেষ্টা করুন। বিয়ে বাড়ি যেতে হলে ফাঁকা ফাঁকায় ঘুরে আসুন। আর্লি ডিনার করে ফিরে আসুন।
অ্যালার্জিঘটিত সর্দি-কাশিতে ইনহেলার নেবেন না। ইনহেলার তখনই দেওয়া হয় যখন রোগীর যেকোনও অ্যালার্জির সঙ্গে অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্ট থাকে কিংবা অ্যাজমার প্রবণতা থাকে।
শ্বাসকষ্ট ও অ্যালার্জির রোগীদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। অ্যাজমা বা সিওপিডি থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ ও ইনহেলার নিতে হবে। বাড়ির চারপাশের বাতাস ভালো রাখতে গাছ লাগাতে হবে। ঘন ঘন ফ্লু হলে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন নেওয়া যেতে পারে। যেকোনও বয়সেই এই ভ্যাকসিন নেওয়া যায়। চিকিৎসকরা ডোজ ঠিক করে দেবেন। এই ভ্যাকসিন হাসপাতাল থেকেও নেওয়া যায়। বয়স ৬০ পেরলে ও নানা কো-মর্বিডিটি থাকলে এবং নিউমোনিয়া আগে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিউমোকক্কাল কনজুগেটেড ভ্যাকসিন নিতে হবে।
দূষণ সামলাতে আম জনতাকেও এগিয়ে আসতে হবে। ধোঁয়া ওঠে এমন উনুন জ্বালানো যাবে না। গ্যাস ব্যবহার করে রান্নার কাজে। কারখানার ধোঁয়ার ক্ষেত্রে কী করা যায়, গাড়ির সংখ্যা কীভাবে কমানো যায় ইত্যাদি প্রশাসনকে ঠিক করতে হবে।
শহরের সবচেয়ে দূষণপ্রবণ অঞ্চলে গাড়ির সংখ্যায় রাশ টানা, ধোঁয়া পরীক্ষার কেন্দ্র বাড়ানো, পুরনো গাড়ির ক্ষেত্রে কড়া আইন আনা, সাইকেল রুট করে সাইকেলে জোর দেওয়া, বৈদ্যুতিন গণপরিবহন বাড়ানো ইত্যাদির মাধ্যমেই দূষণের মোকাবিলা করতে হবে।