দলীয় বিধায়কদের কড়া বার্তা, পাশাপাশি ছাব্বিশে দুই তৃতীয়াংশের বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফেরার বিষয়ে ‘আত্মবিশ্বাসী মমতা

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সোমবার শুরু হয়েছে রাজ্য বাজেট অধিবেশন। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দিল্লির ভোট প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লির বিধানসভা ভোটে আম আদমি পার্টিকে হারিয়ে ২৭ বছর পর রাজধানী দখল করেছে বিজেপি। গত দুই বিধানসভা ভোটে আপ যে ঝড় তুলেছিল তা এবার একেবারে ম্লান। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আপের সঙ্গে কংগ্রেসের সংঘাতই এই ফলাফলের মূলে। ইন্ডিয়া জোটের দুই শরিক দলের দূরত্বে ফায়দা পেয়েছে পদ্ম শিবির। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাই মনে করেন।
মমতা বলেন, ‘দিল্লির ভোটে কংগ্রেস যদি আপের সঙ্গে সহযোগিতা করত, তাহলে এই ফল হত না। ওদিকে, আপও হরিয়ানায় কংগ্রেসকে সাহায্য করেনি। একসঙ্গে থাকলে এমন ফল হত না।’
এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের প্রত্যেক বিধায়ক। দলীয় বিধায়কদের সতর্ক করে দেন মমতা। বলেন, “বিজেপি ভোটে জেতার জন্য ভিনরাজ্যের ভোটারদের ভোটার তালিকায় নাম তুলে দেবে। সতর্ক হতে হবে।” রাজধানীতে জয়ের পর সুকান্ত, শুভেন্দুর মতো রাজ্য বিজেপির বহু নেতাই দাবি করেছেন, ছাব্বিশে নাকি বাংলায় ক্ষমতায় আসছে তারাই। মুখ থুবড়ে পড়বে ঘাসফুল শিবির। এই পরিস্থিতিতে ‘আত্মবিশ্বাসী’ মমতা সাফ জানান, ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনে দুই তৃতীয়াংশের বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফিরবে শাসক শিবিরই।
পাশাপাশি এদিন পরিষদীয় দলের বৈঠকে এবিষয়েই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানালেন, যিনি মানুষের সঙ্গে থাকবেন, তিনিই টিকিট পাবেন। এখানে অন্য কোনও মাপকাঠি নেই। পাশাপাশি বুঝিয়ে দিলেন, দলের রাশ তাঁর হাতেই রয়েছে, থাকবে। তিনিই শেষ কথা। রদবদলের ইঙ্গিত দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, “কে ব্লক সভাপতি হবে, কে কোন পদে থাকবে, তা আমি ঠিক করব।” বুঝিয়ে দিলেন, নির্বাচনকে পাখির চোখ করে তৃণমূলের সমস্ত শাখা সংগঠনের সভাপতি পদে বদল করা হবে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তৃণমূলের সমস্ত শাখা সংগঠনের পদাধিকারীদের সভাপতি পদের জন্য তিনজনের নাম জমা দিতে। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নামের তালিকা দিতে হবে অরূপ বিশ্বাসের কাছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। অর্থাৎ দলের রদবদল থেকে নির্বাচনের টিকিট সবকিছুর শেষ সিদ্ধান্ত নেবেন তিনিই।