ডবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলিতে বাড়ছে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ! বিদ্বেষ ভাষণ নিয়ে তোলপাড় করা তথ্য মার্কিন সংস্থার রিপোর্টে

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: ২০২৪ সালে ঘৃণা ছড়ানোর চেষ্টা তথা সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ এক ধাক্কায় ৭৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে! নিশানায় মুসলমান-সহ সংখ্যালঘুরা। বিজেপি ও এনডিএ শাসিত রাজ্যগুলিতে ধরনের ভাষণের রমরমা বেড়েছে। মার্কিন থিঙ্কট্যাঙ্ক ইন্ডিয়া হেট ল্যাব (আইএইচএল)-র সাম্প্রতিক রিপোর্টে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
মার্কিন সংস্থার পরিসংখ্যান বলছে, মোদী আমলে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষে উস্কানি বেড়ে চলেছে। রিপোর্ট বলছে, সাড়ে চারশোর বেশি ঘৃণা ভাষণ শোনা গিয়েছে বিজেপি নেতাদের গলায়। ৬৩টি উস্কানিমূলক মন্তব্য খোদ মোদী করেছে। অভিযোগ, মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, রোজগারে ঘাটতির মতো জ্বলন্ত ইস্যুর বদলে ধর্মীয় বিভাজনকে আঁকড়ে ধরেছে বিজেপি! বিদ্বেষ ভাষণের প্রবণতা বেড়েছে পাল্লা দিয়ে। এধরনের উস্কানিমূলক বক্তব্য ইন্ধন জোগাচ্ছে সাম্প্রদায়িক হিংসায় যা দেশের পক্ষে অনুকূল নয়।
অভিযোগ, লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে জমি হারাতে দেখে বিজেপি শিবির আগ্রাসীভাবে ধর্মীয় মেরুকরণের তাস খেলতে শুরু করে। হিন্দু ভোট সংহত করার লক্ষ্যে এহেন প্রচারে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন স্বয়ং মোদী। কংগ্রেসের ইস্তাহারকে ‘মুসলিম লিগের ঘোষণাপত্র’ বলে তোপ দেগেছেন। কখনও আবার সুর চড়িয়েছেন, ‘ওরা ক্ষমতায় এলে মা-বোনেদের মঙ্গলসূত্র কেড়ে অনুপ্রবেশকারীদের হাতে তুলে দেবে’ বলে। বিরোধীদের জাতি গণনার দাবিকে ভোঁতা করতে দলিত, ওবিসিদের সংরক্ষণ কেড়ে মুসলমানদের অধিকার দেওয়ার আশঙ্কা পর্যন্ত উস্কে দিয়েছেন। নির্বাচন কমিশন এই ব্যাপারে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ বিরোধীদের। দেদার বিদ্বেষ ভাষণ চালিয়ে গিয়েছে বিজেপি। এবার আইএইচএলের রিপোর্টে তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে।
২০২৩ সালে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ উগরে দেওয়া বক্তব্যের সংখ্যা ছিল ৬৬৮। এক বছরে তা বেড়ে হয়েছে ১,১৬৫। ২০২৪ সালে দেশে বিদ্বেষ ভাষণ ৭৪.৪ শতাংশ বেড়েছে। ৯৮.৮ শতাংশ ক্ষেত্রে নিশানায় ছিল মুসলমানরা। অভিযোগ, বিজেপি তথা এনডিএ শাসিত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে প্রকাশ্যে সমাজ মাধ্যমে বেলাগাম বিদ্বেষ ভাষণ দেওয়া হয়েছে সর্বাধিক।