ধারাবাহিকভাবে কমছে NOTA-য় ভোট দানের হার, কেন এমন প্রবণতা?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কোনও প্রার্থীই পছন্দ নয়, তবে কি ভোটদান থেকে বিরত থাকবেন ভোটদাতা? এই সমস্যা সমাধান করতে দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশে ইভিএমে স্থান পায় নোটা। ২০১৩ সালে নোটার যাত্রা শুরু হয়। কোনও কেন্দ্রে কোনও প্রার্থী পছন্দ না-হলে, নিজেদের মত জানানোর জন্য নোটার প্রচলন হয়। নোটাতে ভোট বরাবর কম পড়ে। লোকসভা নির্বাচনের ইতিহাসে ২০১৪ সালে প্রথমবারের জন্য নোটা ব্যবহার করা হয়। দেশজুড়ে ১.০৮ শতাংশ ভোট পড়ে নোটায়। ২০১৯ সালে নোটায় ভোট পড়ে ১.০৬ শতাংশ। ২০২৪ সালে নোটায় পড়া ভোট নেমে আসে ০.৯৯ শতাংশে। যা এক দশকে সবচেয়ে কম। এখনও পর্যন্ত বিগত তিনটি লোকসভা নির্বাচনেই নোটা ব্যবহার করা হয়ছে।
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যভিত্তিক হিসাবে দেখা যায় বিহারে নোটায় সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে। প্রায় ২.০৭ শতাংশ। তারপরেই দাদরা ও নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউ, দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে নোটায় ভোট পড়েছে ২.০৬ শতাংশ। গুজরাতে মোট ভোটদানের মধ্যে ১.৫৮ শতাংশ ভোট পড়েছে নোটায়। গোটা দেশে নোটায় সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে নাগাল্যান্ডে, ০.২১ শতাংশ। যা জাতীয় গড়ের থেকেও কম।
২০১৩ সালের আগে পর্যন্ত নোটার ব্যবহার ছিল না। ভোটার কোনও প্রার্থীকেই ভোট দিতে না-চাইলে ৪৯-o ফর্ম ফিলাপ করতে হত। তাতে ভোটারের গোপনীয়তার অধিকার বজায় থাকত না। পরে সুপ্রিম কোর্ট নোটাকে ইভিএমে অর্ন্তভুক্তির নির্দেশ দেয়। কিন্তু লাগাতার একের পর এক নির্বাচনে নোটায় ভোটদানের হার কমছে। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি নোটা থেকেও মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন ভোটাররা?