বিদ্যুৎ বিভ্রাট হলেও স্তব্ধ হবে না মেট্রো! কী ব্যবস্থা নিচ্ছে রেল?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মাঝেমধ্যে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরে স্তব্ধ হয়ে যায় কলকাতা মেট্রো। থার্ড লাইনে ‘পাওয়ার ট্রিপ’ বা গ্রিডে সমস্যার জেরে হঠাৎই দাঁড়িয়ে পড়ে মেট্রো রেক। ব্যস্ত সময়ে দুই স্টেশনের মধ্যবর্তী টানেলে ভিড়ে ঠাসা মেট্রোর ক্ষেত্রে এমন ঘটনা বহুবার ঘটেছে। এমার্জেন্সি দরজা খুলে যাত্রীদের লাইন ধরে কাছের স্টেশনে হেঁটে পৌঁছতে হয়। এই যন্ত্রণা থেকে স্থায়ীভাবে মুক্তি পেতে চলেছেন যাত্রীরা। মেট্রোর নর্থ-সাউথ রুটে অর্থাৎ কবি সুভাষ-দক্ষিণেশ্বরে বসছে ‘পাওয়ার ব্যাঙ্ক’। যা দেশের মধ্যে প্রথম।
বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটলেও পাওয়ার ব্যাঙ্কের ফলে যাত্রীবোঝাই রেক ৩০ কিলোমিটার গতিবেগে ছুটতে সক্ষম হবে। বিদ্যুৎ সংযোগ কোনও কারণে চলে গেলেও নিকটবর্তী স্টেশনে যাত্রীদের পৌঁছে দিতে সমস্যা হবে না। আগামী মে মাসেই কলকাতার নর্থ-সাউথ মেট্রো রুটে বসবে এই ‘পাওয়ার ব্যাঙ্ক’। সর্বাধিুনিক এই প্রযুক্তির পোশাকি নাম ব্যাটারি এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম, যা ইনভার্টার ও অ্যাডভান্স কেমিস্ট্রি সেল (এসিসি) ব্যাটারির মিশেলে তৈরি। পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থায় বছরে প্রায় কোটি টাকার কাছাকাছি খরচ সাশ্রয় হবে বলে জানাচ্ছেন মেট্রো কর্তারা।
তাইওয়ানের এক সংস্থা কলকাতা মেট্রোর জন্য ৪ মেগাওয়াটের এই বিইএসএস তৈরি করেছে। প্রতি ঘন্টায় ৬.৪ মেগাওয়াটের লিথিয়াম আয়রন ফসফেট ব্যাটারি তৈরি করছে তারা। মেট্রো কর্তারা বেসরকারি ওই সংস্থার কারখানায় গিয়ে খতিয়ে দেখে এসেছেন। যাবতীয় পরীক্ষা ও পর্যালোচনার পর তাঁরা প্রযুক্তির অনুমোদন করেছেন। মার্চের মাঝামাঝি নাগাদ যন্ত্রটি কলকাতায় চলে আসবে। ১০৬ বর্গ মিটার জায়গায় সহজেই বসানো যাবে যন্ত্রটি, যার আয়ু হবে ১৪ বছর। দমদম থেকে মহানায়ক উত্তমকুমার (টালিগঞ্জ) স্টেশনের মধ্যবর্তী যেকোনও অংশে বসানো হবে বিইএসএস।