আইনজীবীদের কর্মবিরতি রুখতে নয়া আইন আনছে কেন্দ্র

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আইনজীবীরা ইচ্ছামতো কর্মবিরতির ডাক দিতে পারবেন না। একক, সমষ্টিগত বা সংগঠনের ব্যানারে কোনওভাবেই ডাকা যাবে না ধর্মঘট। আন্দোলনের নামে বিচার ব্যবস্থাকে ব্যাহত করা বা আদালত বয়কটও বরদাস্ত করা হবে না। আনা হচ্ছে আইন। বলা হচ্ছে, আইনজীবীরা প্রতিবাদকে আন্দোলন, বয়কট বা ধর্মঘট; যে নামই দিয়ে থাকুন না কেন, একদিনের জন্যও যেন বিচারপ্রার্থীরা সমস্যায় না পড়েন। আন্দোলন বা বয়কটের জন্য যদি বিচার প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটে বা সাধারণ মানুষকে ফিরে যেতে হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে প্রতিবাদকে বেআইনি ঘোষণা করা হবে।

১৯৬১ সালের অ্যাডভোকেটস আইনের সংশোধনী অ্যাডভোকেটস অ্যামেন্ডমেন্টস বিল ২০২৫ সালে সংসদে আনছে আইন মন্ত্রক। আপাতত খসড়া বিল প্রকাশ হয়েছে। প্রথা মেনে অভিমত চাওয়া হচ্ছে সকলের। খসড়া বিল দেখে আইনজীবীদের একাংশ ক্ষুব্ধ হয়েছে। যা নিয়ে দিল্লির একাধিক নিম্ন আদালত জেলা বার অ্যাসোসিয়েশন সোমবার একদিনের প্রতীকী ধর্মঘট পালন করেছে। তাদের হুঁশিয়ারি, রাজ্যে রাজ্যে আন্দোলন শুরু হবে। অভিযোগ, আইনজীবীদের প্রতিবাদের অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এই বিল অগণতান্ত্রিক। সরকারের বক্তব্য, চিকিৎসকদের মতো আইনজীবীদের উপরও আম জনতা নির্ভরশীল। বিচারপ্রার্থী মানুষের পক্ষে একদিনের অপেক্ষাও সহ্য করা অমানবিক। সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক কারণে আদালত বন্ধ থাকবে, বিচার অনিশ্চিত থাকবে, এটা সভ্য আধুনিক সমাজে চলবে না।
১৯৬১ সালের অ্যাডভোকেটস আইনের ৩৫ নম্বর ধারার সংশোধনীতে বলা হয়েছে, আইনজীবীদের কোনও সংগঠন বা সংগঠনের সদস্য একক বা সমষ্টিগতভাবে আদালত বয়কট করলে তা বেআইনি হিসেবে বিবেচিত হবে। বিচারপ্রার্থীদের অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া যাবে না। নতুন একটি ধারা সংশোধনীতে যুক্ত করা হয়েছে। সেখানে বলা হচ্ছে, নয়া সংশোধিত আইনে তিন বছর অথবা তার বেশি সময়সীমার জন্য কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কেউ রাজ্য বার কাউন্সিলের সদস্য হতে পারবেন না।
আইন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করলেই আইন স্নাতক তথা আইনজীবী তকমা পাওয়া যাবে। এতদিন আইনজীবী হওয়ার জন্য বার কাউন্সিলের নম্বর পাওয়া জরুরি ছিল। প্র্যাকটিস না করে অনেকেই আইনি পরামর্শদাতা হয়ে থাকেন এবং কর্পোরেটে আইন বিশেষজ্ঞদের দলের সদস্য হয়ে কাজ করেন তাঁদের আনুষ্ঠানিকভাবে আইনজীবী বলা হয় না। এই প্রথার বদল ঘটছে।