‘সক্ষম’-র পর ‘জ্ঞানালয়’ কর্মসূচির জন্য স্কচ অ্যাওয়ার্ড পেল উত্তর দিনাজপুর
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ‘জ্ঞানালয়’ কর্মসূচির অধীনে জেলার দু’শোর বেশি স্কুলে অত্যাধুনিক পরিকাঠামো তৈরির জন্য স্কচ অ্যাওয়ার্ড পেল উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসন। দ্বিতীয়বার এই সম্মান পেল উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসন। ‘সক্ষম’ প্রকল্পের আওতায় কৃত্রিম অঙ্গ বিলি ও বিকলাঙ্গদের অধিকার সুরক্ষার জন্য ‘স্কচ’ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিল জেলা প্রশাসন।
বিগত বছরের সেপ্টেম্বরে জেলাশাসক সুরেন্দ্র কুমার মীনা জেলার গ্রামীণ এলাকার দু’শোটির বেশি স্কুলে অত্যাধুনিক পরিকাঠামো তৈরির পরিকল্পনা নেন। উদ্দেশ্য ছিল, গ্রামীণ স্কুলের পড়ুয়াদের শহরের পড়ুয়াদের সমকক্ষ করে তোলা। এই কর্মসূচির নাম জ্ঞানালয়। প্রথমে জেলার ৯৮ টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার স্কুলগুলিকে একে একে বেছে নেওয়া হয়। বিভিন্ন ফান্ডকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যালয়গুলির পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ শুরু হয়। বিদ্যালয়গুলিকে ঝাঁ চকচকে করে তোলা হয়েছিল। ‘জ্ঞানালয়’ কর্মসূচির আওতায় স্কুলের বহুতল, সীমানা প্রাচীর, সিঁড়িতে ইতিহাস, ভূগোল, অঙ্ক, বিজ্ঞানের জটিল বিষয়, রসায়নের সূত্র আঁকা হয়। স্কুলে এলেই পড়ুয়াদের সেসব আঁকা চোখে পড়ে এবং শেখার আগ্রহ বাড়ে। পড়ুয়াদের সিলেবাসের বাইরে কিছু সাধারণ জ্ঞানের ধারণা দিতেও একাধিক উপায় অবলম্বন করা হয়। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা হয় স্মার্ট ক্লাস। প্রজেক্টর, স্মার্ট টিভি ও ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবস্থা করা হয়। ই-লার্নিংয়ের সুযোগ মেলে পড়ুয়াদের।
স্কুলছুট কমাতে এবং পড়ুয়াদের স্কুলের প্রতি আকর্ষণ ফেরানোর লক্ষ্যে অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হয়। জেলাশাসক সুরেন্দ্র কুমার মীনা জানান, গত বছর জ্ঞানালয় কর্মসূচি শুরু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতি, পঞ্চায়েত ও স্কুল কর্তৃপক্ষকে উৎসাহিত করা হয়। পড়ুয়াদের স্কুলের প্রতি আকর্ষণ বাড়াতে কী কী করতে হবে তা বোঝানো হয়। আধিকারিক থেকে শুরু করে স্কুল কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা নিয়ে স্কুলের দেওয়াল রঙিন করা, স্মার্টক্লাসের মাধ্যমে ই-লার্নিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়। প্রথম ধাপে দু’শোর বেশি স্কুলকে জ্ঞানালয় কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছিল। আগামীতে আরও দু’শোটি স্কুলকে একইভাবে সাজানো হবে।