সুন্দরবনে মিষ্টি জলের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে বৃষ্টির জল ধরে রাখার নতুন প্রকল্প আনছে রাজ্য

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সাগর সংলগ্ন সুন্দরবনের জমিতে মাঝেমধ্যেই ঢুকে পড়ে নোনা জল। সেই জল না চাষযোগ্য, না পানীয় জল হিসাবে ব্যবহারের উপযোগী। এই অবস্থায় সুন্দরবনের মানুষের মিষ্টি জলের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি এলাকার সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বৃষ্টির জল ধরে রেখে এক অভিনব প্রকল্প পরিকল্পনা করেছে রাজ্য সরকার। প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ওয়াটার ইউজার্স কমিটি’।
বিশ্ব ব্যাঙ্কের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই প্রকল্পের কাজ করবে রাজ্য সরকার। প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়িত করতে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি চেয়েছে রাজ্য। রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়ন দপ্তরকে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নেদারল্যান্ডসের একটি বিশেষজ্ঞ সংস্থা এই প্রকল্পের কাজে রাজ্য সরকারকে সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন দপ্তরের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। সুন্দরবন এলাকায় প্রধানত নোনা জলই বেশি। তাই বৃষ্টির জল ধরে রাখার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে পানীয় জল, কৃষিকাজ সহ মৎস্যচাষ ও হর্টিকালচার উন্নয়নের কাজও সম্ভব হবে।
ইতিমধ্যেই জাতীয়স্তরে এই প্রকল্পের ভাবনাকে সাধুবাদ জানানো হয়েছে। বরাদ্দ অর্থ সরবরাহ করতে রাজি হয়েছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। স্থির হয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অধীনে থাকা সুন্দরবনের ১১টি ব্লকের মধ্যে ৩৯টি দ্বীপে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করা হবে। সেই দ্বীপগুলি ইতিমধ্যে চিহ্নিতও করা হয়ে গিয়েছে। এই প্রকল্পের মোট খরচ ধরা হয়েছে ৪,১০০ কোটি টাকা। যার মধ্যে ৩০ শতাংশ খরচ বহন করবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আর বাকি ৭০ শতাংশের ব্যবস্থা করবে বিশ্ব ব্যাঙ্ক।