কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

কুমারটুলি কাণ্ড: চুরির দায়ে এর আগেও জেলে খেটেছিল ধৃত ফাল্গুনী ঘোষ!

February 27, 2025 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: হাড়হিম করা কুমারটুলি কাণ্ড প্রকাশ্যে আসতেই শিউরে উঠেছে গোটা রাজ্য। এবার জানা যাচ্ছে, পিসিশাশুড়ি খুনের ঘটনায় ধৃত ফাল্গুনী ঘোষ ওরফে পিউ এর আগেও শিলিগুড়িতে জেল খেটেছিল। অভিযোগ, সাড়ে তিনবছর আগে মামাশ্বশুরের বাড়ি থেকে সে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকার সম্পত্তি হাতিয়ে ছিল। গঙ্গার ঘাটে সুমিতা ঘোষের ব্যাগবন্দি মৃতদেহ উদ্ধারের পর বুধবার এমন অভিযোগ করেন তাঁর ভাইপো সপ্তক ঘোষ।

সম্পর্কে তিনি ধৃত ফাল্গুনীর ভাশুর। তিনি বলেন, দেখে বোঝার উপায় নেই, ফাল্গুনী ঠান্ডা মাথার অপরাধী। আমাদের পরিবারের কেউ ওকে পছন্দ করে না। শিলিগুড়ি শহরের সুভাষপল্লিতে থাকেন পেশায় ব্যবসায়ী সপ্তক।

২০১৮ সালের ১০ জুলাই শুভঙ্কর ঘোষের সঙ্গে বিয়ে হয় ফাল্গুনীর। শুভঙ্কর ইলেকট্রনিক্স গুডসের ব্যবসায়ী। পিসির মৃতদেহ উদ্ধারের পর ফাল্গুনীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন সপ্তক। তিনি বলেন, মামার বাড়িতে ঘুরতে এসে হাত সাফাই করেছিল ফাল্গুনী। তখন ও জেলেও যায়। পরে ভুল স্বীকার করে নিয়ে সে স্বামীর সঙ্গে সংসার করছিল। হঠাৎ করে আড়াই বছর আগে জোরহাট থেকে কলকাতায় নিজের মায়ের কাছে চলে যায়। বধূ নির্যাতনের ও ভরণপোষণের মামলা রুজু করে। সেই মামলা চলছে। ওর সঙ্গে পরিবারের কারও সম্পর্ক নেই। ওকে দেখে বোঝার উপায় নেই, ওর মাথায় কি চলছে। এককথায় ও ঠান্ডা মাথার অপরাধী! কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন সপ্তকবাবু। তিনি বলেন, সুমিতা ঘোষ তাঁর ছোট পিসি। তাঁর মৃত্যু কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাইছেন তাঁরা।

জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের ৩ জুলাই স্ত্রী ফাল্গুনীকে নিয়ে মামার বাড়িতে আসেন শুভঙ্কর। ৮ আগস্ট পর্যন্ত ওই বাড়িতেই ছিলেন তাঁরা। এরপরই বাড়ির লোকরা লক্ষ্য করেন বাড়ি থেকে সোনার গয়না ও নগদ মিলিয়ে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার সম্পত্তি উধাও। শিলিগুড়ি থানায় চুরির অভিযোগ দায়ের করেন সুব্রতবাবুর স্ত্রী। পুলিশ তদন্তে নেমে ৩১ আগস্ট ফাল্গুনীকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতের কাছ থেকে চুরি যাওয়া গয়নাও উদ্ধার হয়। আদালত ধৃতকে জেল হেপাজতের নির্দেশ দেয়। অভিযুক্ত চারদিন জেলে ছিল। এরপর পরিবারের সম্মানের কথা ভেবে ফাল্গুনীর জামিন পেতে সাহায্য করেন অভিযোগকারীরা। সেই মামলা এখন বিচারাধীন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #Ahiritola murder case, #Kumartuli Case

আরো দেখুন