বাগদা’র ১০৬টির মধ্যে ৪৯টি গ্রামই মডেল তকমা পেয়েছে, প্রশংসা UNICEF-র

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: উত্তর ২৪ পরগনার প্রান্তিক ব্লক বাগদা। এই এলাকা মূলত কৃষিপ্রধান। মৎস্যজীবীদেরও বাস এখানে। বয়ে গিয়েছে কোদালিয়া, ইছামতী সহ একাধিক নদী। ব্লকের বেশিরভাগ অংশে কাঁটাতারের বেড়া। বেড়ার ওপারে বাংলাদেশ। সে কারণে অনুপ্রবেশের সেফ করিডরও এ এলাকা। বাংলাদেশের দুষ্কৃতীদের অবাধ বিচরণ আছে। তবুও ব্লকের উন্নয়নের কাজ থমকে নেই। এখানকার ১০৬টির মধ্যে ৪৯টি গ্রাম মডেল তকমা পেয়েছে। আরও ২৭ টি সে পথে হাঁটছে।
মডেল গ্রাম গড়ার প্রথম ধাপ স্বচ্ছতা। সে দিকে বিশেষ নজর দিয়েছে ব্লক প্রশাসন। বাগদা ব্লকের ন’টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে পাঁচটি রয়েছে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প। সিন্দ্রাণী পঞ্চায়েতের কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প জেলা তো বটেই রাজ্যেও সাড়া ফেলেছে। ই-কার্টের মাধ্যমে গৃহস্থ বাড়ি ও বাজার থেকে বর্জ্য সংগ্রহ হয়। তা দিয়ে তৈরি হয় জৈব সার। এই কাজে যুক্ত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। ফলে কর্মসংস্থান বেড়েছে। বেড়েছে আয়। ইতিমধ্যেই কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিচালনায় ইউনিসেফের প্রশংসা পেয়েছে বাগদা ব্লক।
গ্রামগুলিতে হচ্ছে লিচ পিট ও সোক পিট। প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবহার করে রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা চলছে। এখানকার প্রায় ৬০ হাজার মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রকল্প পান। বিধবা ভাতা পান প্রায় সাত হাজার। বার্ধক্য ভাতার সুবিধা পাচ্ছেন প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার। দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ও মানবিক ভাতার সর্বাধিক আবেদন জমা পড়েছে। ১৩ হাজার ২০২ উপভোক্তা আবাস যোজনায় অন্তর্ভুক্ত। এঁরা প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার করে টাকা পেয়েছেন।