যাদবপুর নিয়ে সোচ্চার দেবাংশু, কী বললেন সাংবাদিক বৈঠকে, দেখে নিন
March 4, 2025 | < 1min read
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূলের আইটি সেলের ইন-চার্জ দেবাংশু ভট্টাচার্য গত শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ঘটনা নিয়ে চিত্র-ভিডিও প্রমাণসহ কিছু তথ্য তুলে ধরেন। তাঁর অভিযোগ, ক্যাম্পাসের ঘটা হিংসাত্বক ঘটনা মাও-সিপিএমের আঁতাতের প্রতিফলন।
দেখুন তাঁর সম্পূর্ণ বক্তব্য:
এদিন সাংবাদিকদের দেবাংশু বলেন,
ব্রাত্য বসুর স্করপিওর চাকার তলায় একজন ঢুকে রয়েছেন বলে যে স্ক্রিনশট সোশ্যাল মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, এর ভিডিওটা কোথায়?
আড়াআড়িভাবে ইন্দ্রানুজ শুয়ে থাকলে তার ওপর দিয়ে স্করপিওর মতো বড় গাড়ি গেলে শুধুমাত্র চোখে চোট লাগল, এটা কীভাবে সম্ভব?
বলা হচ্ছে, ইন্দ্রানুজের চোখের ওপর দিয়ে নাকি গাড়ির চাকা গেছে! চোখকে টায়ারের অংশ টাচ করতে হলে নাক, কপাল, গালের হাড় তো ভেঙে যাওয়ার কথা! মাথাও তো থেঁতো হয়ে যাওয়ার কথা! অথচ শুধুই চোখে চোট অর্থাৎ ফেক ছবি ছড়িয়ে মিথ্যে সহানুভূতি কুড়ানোর চেষ্টা। তা না হলে ভাইরাল স্ক্রিনশটের প্রকৃত ভিডিও সামনে আনুক এসএফআই-সিপিএম।”
ইন্দ্রানুজ মাওবাদী, এটা আমরা বলছি না, ওর ফেসবুক পোস্ট দেখুন। নিজেই নিজেকে গর্ব করে বলছে- ও মাওবাদী। পোস্টে নিজেই লিখেছে, মার্কসবাদ , মাওবাদ দীর্ঘজীবী হোক।
নৈহাটি উপ নির্বাচনে সিপিআইএমএলের সঙ্গে জোট করেছিল। এখন মাওবাদীদের সঙ্গে যৌথভাবে আন্দোলন করছে। শূন্য হয়ে যাওয়ার পর বামেদের আদর্শগত বিচ্যুতিও হয়ে গেল। সেটা তো যাদবপুর প্রমাণ করে দিল।
আজ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সিসিটিভি থাকলে শনিবারের ঘটনা জলের মতো পরিষ্কার হয়ে যেত যে কারা আক্রমণ করেছিল। কাদের বাধায় সেখানে আজও সিসিটিভি বসল না? কারা যাদবপুরকে মুক্তাঞ্চল বানিয়ে রেখেছে?
দেড় মাস আগে এসএফআইয়ের বিরুদ্ধে যাদবপুরে সন্ত্রাস, খুনের অভিযোগ এনেছিল ইন্দ্রানুজ। তার ওই অভিযোগ কি সত্য? কী বলবেন এসএফআই নেতারা?
এভাবেও যে মাও-সিপিএম আঁতাত করে মিথ্যাচার করতে পারে, সেটা ব্রাত্য বসুও ভাবতে পারেননি। তাছাড়া ওনার গাড়ির চারিদিকে সবাই ঘিরে ধরেছিল। ফলে ভেতর থেকে বসে সবটা বোঝা কারও পক্ষেই সম্ভব নয়।
এখন পুরো বিষয়টা জলের মতো স্পষ্ট। যাদবপুরের মিথ্যাচারকে আঁকড়ে সিপিএম ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। ওদের সেই মিথ্যে ফাঁস করে দিলাম।