তৃণমূলের দাওয়াইয়ের জের, তিন মাসে ভোটার তালিকার ভূত তাড়াবে খোদ নির্বাচন কমিশন

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ভোটার তালিকায় ভূতুড়ে ভোটার নিয়ে লাগাতার চাপ বাড়াচ্ছিল তৃণমূল। অবশেষ তৃণমূলের চাপের মুখে নতিস্বীকার করল নির্বাচন কমিশন। আগামী ৩ মাসের মধ্যে ডুপ্লিকেট এপিক নম্বর সরিয়ে ফেলা হবে বলে শুক্রবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানাল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ২ মার্চ কমিশনের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়, একই এপিক নম্বরে একাধিক ব্যক্তির নামে ভোটার কার্ড থাকা মানেই তাঁরা ভুয়ো ভোটার নন। এবার সংশোধন করার কথাই জানাল তারা।
বাংলার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে প্রথমবার ভূতুড়ে ভোটার ইস্যুতে সুর চড়িয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতাজি ইন্ডোরে দলীয় সম্মেলনের মঞ্চ থেকেও সরব হন তিনি। কমিশন বিবৃতি দিয়ে জানায়, একই এপিক নম্বরে একাধিক ভোটার কার্ড থাকতে পারে। কাউকে ভুয়ো ভোটার বলা যাবে না।
তৃণমূলের প্রশ্ন আধার কার্ড, পাসপোর্টের মতো ভোটার কার্ডেও ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নম্বর নেই কেন? বৃহস্পতিবার এই অভিযোগ নিয়ে কমিশনের দপ্তরে যান চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নতিস্বীকার করল নির্বাচন কমিশন। আগামী ৩ মাসের মধ্যে সমস্যা সমাধান করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আশ্বাস দিল কমিশন। অন্যদিকে, সোমবার সংসদে এই ইস্যুতে মোদী সরকারকে চেপে ধরার রণকৌশল সাজিয়েছে তৃণমূল।