জীবনশৈলী বিভাগে ফিরে যান

জাফরানি পরশ থাকুক ত্বকেও

March 8, 2025 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বাঙালির দৈনন্দিন রান্নাঘরের উপকরণ হিসেবে জাফরানের ভূমিকা রয়েছে। কাশ্মীরের গুলমার্গ যাওয়ার পথে হাইওয়ের ধারে বেগুনি রঙা ফুলে ছেয়ে আছে শীতের মাঠ। আপাদমস্তক শীতপোশাকে ঢেকে মাঠের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে নানা বয়সের পুরুষ ও মহিলা। ছোট, বড় টুকরি সকলের হাতে। মাঠ থেকে ওই ফুল তুলে নিয়ে আসা তাঁদের কাজ। ফুলের ভিতরে থাকা তিনটে হলদে রঙা পরাগই হল বহু মূল্যবান জাফরান বা কেশর। রান্নায় দিলে নিমেষে স্বাদ বদল। রূপরুটিনে কাজে লাগালে দিন কয়েকেই ফল মিলবে।

কাশ্মীরের গুলমার্গ যাওয়ার পথে হাইওয়ের ধারে বেগুনি রঙা ফুলে ছেয়ে আছে শীতের মাঠ। আপাদমস্তক শীতপোশাকে ঢেকে মাঠের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে নানা বয়সের পুরুষ ও মহিলা। ছোট, বড় টুকরি সকলের হাতে। মাঠ থেকে ওই ফুল তুলে নিয়ে আসা তাঁদের কাজ। ফুলের ভিতরে থাকা তিনটে হলদে রঙা পরাগই হল বহু মূল্যবান জাফরান বা কেশর। রান্নায় দিলে নিমেষে স্বাদ বদল। রূপরুটিনে কাজে লাগালে দিন কয়েকেই ফল মিলবে।

জাফরানের মধ্যে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে। সেজন্য যে কোনও ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণুর সংক্রমণ রোধে ওষুধের মতো কাজ করে। দীর্ঘদিন ব্রণর সমস্যায় ভুগলে, জাফরান এবং চন্দন বেটে একসঙ্গে লাগান। ব্রণর দাগ থাকলে ফ্রেশ ক্রিমের সঙ্গে জাফরান মিশিয়ে লাগালে সেই দাগ কমবে।

কাজের অত্যধিক চাপ, লাইফস্টাইল সংক্রান্ত নানা সমস্যায় এখন জেরবার বেশিরভাগ মানুষ। ফলশ্রুতি হিসেবে কম ঘুম, চোখের তলায় ডার্ক সার্কলের সমস্যায় ভোগেন অনেকে। চোখের নীচে ফোলা ভাব তৈরি হয়। তা নিরাময়ে কেশর কাজে লাগে। কুমকুমাদি তেলের মূল উপাদান কেশর। এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল বা আমন্ড অয়েলের মধ্যে কিছুদিন কেশর ভিজিয়ে রাখতে পারেন। এটা রোদে রাখুন। তারপর চোখের চারপাশে মাসাজ করুন। চোখ থেকে অতিরিক্ত জল পড়ার সমস্যা থাকলে সেটাও মেটাবে। ফলে চোখের ফোলা ভাব কমবে। চোখের চারপাশে বলিরেখা এবং ডার্ক সার্কলের সমস্যা দূর করবে।

ত্বকে ট্যান পড়ে যাওয়া এখন খুব সাধারণ সমস্যা। তা থেকে দূরে থাকার জন্য কেশর ব্যবহার করতে পারেন। রূপবিশেষজ্ঞ জানালেন, যাঁদের রোদে পুড়ে ত্বক কালো হয়ে গিয়েছে, তাঁরা অ্যান্টি এজিং হিসেবে জাফরান ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট কমে গেলে বলিরেখা আসে। ফলে প্যাক হিসেবে জাফরান সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। আবার জলে কেশর ভিজিয়ে রেখে খালি পেটে খেলেও উপকার পাবেন। জাফরানের মধ্যে যে অ্যাসকরবিক অ্যাসিড আছে, তা সব ধরনের ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।

কেশর নানা কিছুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে ভালো ফল পাবেন। রাতে জাফরান এবং কালো কিশমিশ খেলে অ্যাসিডিটি, বদহজমের সমস্যা দূর হয়। এর মধ্যে রিফোফিবিন নামে একটা উপাদান রয়েছে, যার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি রয়েছে। যা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ডিপ্রেশন কাটাতেও সাহায্য করে কেশর। স্নায়ু শান্ত করে। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন পাওয়া যায়। যা উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Skin, #saffron

আরো দেখুন