সংসদে ‘ভুয়ো ভোটার’ ইস্যুতে জোটবদ্ধভাবে সুর চড়াচ্ছে বিরোধীরা

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সোমবার শুরু হচ্ছে সংসদের বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় দফা। সোমবার প্রথম দিনেই ভোটার তালিকায় কারচুপির অভিযোগ নিয়ে সংসদে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের অভিযোগ, বাংলার ভোটার তালিকায় বহু ভুয়ো ভোটার আছে। এমনকী ভিন রাজ্যের বাসিন্দার নামও আছে। ভোটার তালিকা নিয়ে আপত্তি আছে কংগ্রেসেরও। তারাও এদিন এই বিষয়ে সরব হয়েছে।
জিরো আওয়ারে ‘ভূতুড়ে’ ভোটার ইস্যুতে সুর চড়ান কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সৌগত রায়রা। তাঁরা দাবি করেন, নির্বাচন কমিশনের সহায়তায় ইচ্ছাকৃতভাবে ভোটার তালিকায় গরমিল করা হচ্ছে। তৃণমূল সাংসদদের থামানোর চেষ্টা করা হয়। তাঁদের সমর্থন জানিয়ে লোকসভায় বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী ‘ত্রুটিপূর্ণ’ ভোটার তালিকা নিয়ে আলোচনার দাবি তোলেন এবং রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গেও একই দাবি তোলেন।
মাল্লিকার্জুন খাড়গে মাত্র ৩০ সেকেন্ড বক্তব্য রাখার পর তাঁর মাইক্রোফোনটি বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপরই অধিবেশন চলাকালীন ওয়াকআউট করেন বিরোধী সাংসদরা। তবে সিপিআইএম সাংসদ এই ইস্যুতে ওয়াআউট করেননি।
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সাংসদ সাকেত গোখলে এবং সাগরিকা ঘোষ ও কংগ্রেসের প্রমোদ তিওয়ারি এবং অজয় মাকেন এপিক নম্বরের গরমিলের ইস্যুতে আলোচনার দাবি জানিয়ে নোটিশ জমা দিয়েছেন। ডিএমকে, বিজেডি’র সাংসদরাও একই ইস্যুতে একাধিক নোটিশ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার রাজ্যসভায় শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হবে, কংগ্রেস এই বিতর্ক শুরু করবে। বুধবার রেলপথ নিয়ে বিতর্ক শুরু করবে বিজেপি, ১৭ মার্চ স্বাস্থ্য নিয়ে বিতর্কের নেতৃত্ব দেবে ডিএমকে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাজকর্ম নিয়ে আলোচনার নেতৃত্ব দেবে তৃণমূল কংগ্রেস। মঙ্গলবার মণিপুরের অশান্তি নিয়ে প্রথমে লোকসভায় আলোচনা হবে, এরপরে রাজ্যসভায় আলোচনা হবে।