নদীয়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল! মহুয়ার বিরুদ্ধে নালিশ কোন কোন বিধায়কের?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: নদীয়ায় গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে কি জেরবার তৃণমূল? কয়েক মাস আগেই কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ জানিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছিলেন তৃণমূলের ছ’জন বিধায়ক। অভিযোগপত্রে, কৃষ্ণনগর লোকসভার অধীনস্থ পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রের পাঁচ তৃণমূল বিধায়ক এবং মহুয়ারই পুরনো বিধানসভা কেন্দ্র করিমপুরের তৃণমূল বিধায়কের স্বাক্ষর ছিল। তাঁরা হলেন করিমপুরের বিধায়ক বিমলেন্দু সিংহরায়, চাপড়ার বিধায়ক রুকবানুর রহমান, নাকাশিপাড়ার বিধায়ক কল্লোল খাঁ, পলাশিপাড়ার বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য (সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন পেয়েছেন), কৃষ্ণনগর দক্ষিণের বিধায়ক উজ্জ্বল বিশ্বাস এবং কালীগঞ্জের বিধায়ক নাসিরুদ্দিন আহমেদ (লাল)। তাঁদের সাফ অভিযোগ, দল চালাতে অসহযোগিতা করছেন মহুয়া মৈত্র। এরকম করলে সংগঠনের কাজ করা সম্ভব নয়।
মহুয়ার বিরুদ্ধে লেখা অভিযোগপত্রে সই নেই তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা এবং কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়ের। মহুয়ার লোকসভা কেন্দ্র কৃষ্ণনগরের বাকি পাঁচ জন বিধায়কই তাঁর বিরুদ্ধে দলনেত্রীর কাছে অভিযোগ করেছেন। পাশাপাশি অভিযোগ করেছেন করিমপুরের বিধায়ক। করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্র কৃষ্ণনগর লোকসভা নয়, মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। যদিও বিধানসভাটি তৃণমূলের সাংগঠনিক জেলার অন্তর্গত।
বিধায়কদের অভিযোগ, তৃণমূল সাংসদ নাকি বিধায়কদের এড়িয়ে তিন ব্লক সভাপতি-সহ ১১৬ জন বুথ সভাপতি এবং ১৬টি অঞ্চল সভাপতি বদল করেছেন। মহুয়া ওই বিধায়কদের পাত্তা না-দিয়ে তাঁদের এলাকায় যাতায়াত করেন। অভিযোগ, বর্তমান বিধায়কদের বদলে ২০২৬-র বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী করবেন বলে একাধিক ব্লকের নেতাদের নাকি প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছেন মহুয়া।
মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীকেও অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছিল। শোনা যায়, ‘বিক্ষুব্ধ’ বিধায়কদের দলের তরফে বলা হয়েছিল, নেত্রীর কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ জানাতে। সেই মতোই অভিযোগগুলি লিখিত আকারে জমা দেওয়া হয়েছে। আদৌ কোনও পদক্ষেপ করা হয় কি-না সেদিকে নজর থাকবে।