মুখ্যমন্ত্রীকে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আমন্ত্রণ নিয়ে বাম-BJP-র কুৎসা! ইংরেজি বোঝেনি বলে খোঁচা তৃণমূলের

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রণে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লন্ডন যাচ্ছেন বক্তৃতা দিতে। যা নিয়ে লাগাতায় বাম ও বিজেপি নানান দাবি করে চলছে। এমনকি সিপিএমের মুখপত্র গণশক্তিতেও মিথ্যাচার-কুৎসা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। সম্প্রতি সেই কুৎসা ফাঁস করল তৃণমূল কংগ্রেস। সিপিএমের মুখপত্র গণশক্তি পত্রিকায় মুখ্যমন্ত্রীর অক্সফোর্ড যাওয়া নিয়ে যে ভুল খবর পরিবেশিত হয়েছে তাও প্রমাণ করে দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। প্রসঙ্গত, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলায় নারীর ক্ষমতায়ন ও সাফল্য নিয়ে আগামী ২৭ মার্চ বক্তব্য রাখার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ২২ মার্চ কলকাতা থেকে রওনা হয়ে লন্ডন যাবেন মুখ্যমন্ত্রী।
জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি অক্সফোর্ডের কেলগ কলেজের তরফে বক্তব্য রাখার জন্য আমন্ত্রণের চিঠি এসেছিল। দেশের সাধারণ নির্বাচন এবং রাজ্যের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি থাকায় মুখ্যমন্ত্রীর সফরসূচি চূড়ান্ত করা যায়নি। বাংলায় নারীর ক্ষমতায়ন এবং উন্নয়নের নানা দিশা তুলে ধরতে পাঁচদিনের জন্য এবার লন্ডনে সফরে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় সরকারও তাঁর সফরের জন্য ছাড়পত্র দিয়েছে। তা নিয়ে বাম ও বিজেপি ভুয়ো প্রচার করছে, যার কড়া জবাব দিয়েছে তৃণমূল।
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছেন, “অক্সফোর্ডের আমন্ত্রণে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য রাখতে যাওয়া এবং বাংলার উন্নয়ন ও সাফল্যের কথা তুলে ধরার বিষয়টি সমস্ত রাজ্যবাসীর কাছে অত্যন্ত গর্বের। বাম ও বিজেপি রাজ্যের এই গর্বের বিষয়টি মানতে পারছে না। ঈর্ষায়, হিংসায় জ্বলে মরছে। লজ্জার কথা হল, জনৈক বিশ্বনাথ গোস্বামীর আরটিআই বলে যে তথ্য গণশক্তি তুলে ধরেছে তা পুরোপুরি হাস্যকর।”
উল্লেখ্য, সিপিএমের মুখপত্র গণশক্তি পত্রিকায় জনৈক বিশ্বনাথ গোস্বামীর ই-মেলের উত্তর উল্লেখ করে দাবি করা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীকে নাকি অক্সফোর্ড আমন্ত্রণই জানায়নি। সিপিএমের সুরে মুখ্যমন্ত্রীর অক্সফোর্ডযাত্রা নিয়েও কুৎসা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূলের প্রশ্ন, কবে থেকে আরটিআইয়ের অধীনে এল গ্রেট ব্রিটেন? কারণ, অক্সফোর্ড ইংল্যান্ড অর্থাৎ গ্রেট ব্রিটেনের অধীনে। আরটিআই শুধুমাত্র ভারতের নিজস্ব আইন। তথ্যের অধিকার বলে এই দেশে তা জানা সম্ভব। কীভাবে বিশ্বনাথ গোস্বামী গ্রেট ব্রিটেনের তথ্য পেলেন?
গণশক্তিতে প্রকাশিত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যর অফিস থেকে পাঠানো চিঠিতে রয়েছে, “তাঁদের কাছে যেহেতু সব বিভাগের আলাদা আলাদা তথ্য একত্রিতভাবে (কেন্দ্রীয়ভাবে) নেই, তাই কোন বিভাগের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ করা হয়েছে সেটা তাঁরা এই মুহূর্তে জানাতে পারছেন না।”
কুণালের খোঁচা, “মনে হচ্ছে বাম জমানায় যখন প্রাথমিক স্তরে ইংরেজি তুলে দেওয়া হয়েছিল সেই সময় পড়াশোনা করা সিপিএম নেতাদের কেউ কেউ অক্সফোর্ডের উপাচার্যর চিঠির ইংরেজি বুঝতে না পেরে এমন মিথ্যাচার শুরু করেছেন।” অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কেলগ কলেজের তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়ে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলরের চিঠিটি সিপিএম নেতারা বুঝতে পারেননি বলেই পালটা আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল।