সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন জমি নীতি আনছে রাজ্য সরকার, পরিকাঠামোর উন্নতির ফলে জেলায় বিনিয়োগকারীদের ‘ইনসেনটিভ’ নয়

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ২০১১ সাল রাজ্যে ক্ষমতার পালাবদলের পর থেকে শিল্পের বিকাশও হয়েছে। ছোট-বড় নানা শিল্প গড়ে উঠেছে। তবে শিল্প স্থাপনে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিলম্বের কারণ হয়ে ওঠে রাজ্য সরকারের বর্তমান জমি নীতি। এবার সেই নীতি বদলের পরিকল্পনা করছে রাজ্য সরকার। যেমন, শিল্প গড়ার জন্য রাজ্যে সরকার আলাদা করে যে আর্থিক সাহায্য করত, তা বাতিলের ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার বিধানসভায় বিল এনে এই আর্থিক সাহায্য বাতিল করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বর্তমানে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের ফলে ওই সাহায্যের আর প্রয়োজন নেই। তাই তা বাতিল করা হচ্ছে।
রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়, বিশেষত পিছিয়ে পড়া জেলাগুলিতে শিল্পের উন্নয়নের জন্য শিল্পপতি এবং বিনিয়োগকারীদের কিছু ‘ইনসেনটিভ’ দেওয়া হত। আর্থিক সাহায্যের মাধ্যমে ওই সমস্ত জেলায় বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণ করা হত ব্যবসায়ীদের। বাম আমল থেকে এই ব্যবস্থার চল ছিল। বুধবার বিধানসভায় সংশ্লিষ্ট বিল এনে ‘ইনসেনটিভ’ বাতিল করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে সরকারের ব্যাখ্যা, আগে শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো ছিল না। তাই বিনিয়োগকারীদের সরকারের তরফে এই বাড়তি সুবিধা দেওয়া হত। কিন্তু বর্তমানে সমস্ত জেলায় শিল্প গড়ার সুযোগসুবিধা রয়েছে। জল, বিদ্যুৎ প্রভৃতি সব ক্ষেত্রেই প্রভূত উন্নয়ন ঘটেছে। তাই এই আর্থিক সাহায্যের আর কোনও প্রয়োজন নেই।
বুধবার বিধানসভায় ছিল স্বাস্থ্য বাজেট আলোচনায় অংশ নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি বলেন, ”১৯৫৭ সালে সরকার একটা জমি নিয়েছিল, আজও তার ক্ষতিপূরণ দিতে হচ্ছে। সিপিএম আমলে এত জমি নিয়েছে, তার টাকা আজও দিতে হচ্ছে। ট্রেজারিতে চাপ বাড়ছে। এটা হবে না। একটা দায়িত্ব নেয়নি। এখন রাজ্যে বড় শিল্প আসছে। আরও প্রকল্প আছে। ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ আছে। আইটি এজেন্সি অনেক বেড়েছে, তাই নতুন পলিসি করতে হবে।”