ভূতুড়ে ভোটার বাড়ছে কীভাবে? মোদী সরকারকে প্রশ্ন তৃণমূল-সহ বিরোধীদের

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ভুয়ো ভোটার কার্ড, ক্লোনড আধার কার্ড নিয়ে লাগাতার মোদী সরকারের উপর চাপ বাড়াচ্ছে তৃণমূল-সহ বিরোধীরা। বৃহস্পতিবার সংসদে কংগ্রেস প্রশ্ন তুলল, ২০২৪ সালে সুষ্ঠু এবং অবাধ নির্বাচন হয়েছে তো? সম্প্রতি একই অভিযোগে সরব হয়েছিলেন তৃণমূলের সাংসদ তথা লোকসভায় দলের মুখ্য সচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সুর শোনা গেল কংগ্রেসের মণীশ তিওয়ারির গলায়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং আধার কার্ড কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বুধবার বিশেষ বৈঠক করেছে নির্বাচন কমিশন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আইন মেনে সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্রের সঙ্গে আধার সংযুক্তিকরণে নির্বাচন কমিশন নতুন করে উদ্যোগ নেবে। প্রাক্তন তথ্যসম্প্রচারমন্ত্রী মণীশ তিওয়ারির প্রশ্ন, “কী করে প্রায় রাতারাতি ভুয়ো ভোটার বেড়ে যাচ্ছে?” কংগ্রেস সাংসদ বলেন, “প্রথম ভোটার তালিকায় ভোটারের যা সংখ্যা আসছে, সাপ্লিমেন্টারি তালিকায় তার চেয়ে অনেক বেশি।” মহারাষ্ট্রে লোকসভা আর বিধানসভা ভোটের মধ্যে সামান্য সময়ের ফারাকে বিপুল সংখ্যায় ভোটার বেড়ে যাওয়ার প্রসঙ্গ টেনে মনীশ বলেন, “ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার সংযুক্তিকরণ পরের কথা। আগে কমিশন এর (ভোটার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার) জবাব দিক। অস্বাভাবিক বাড়তি ভোটাররা কি প্রকৃত ভোটার তো? যেসব ভোট হয়েছে, তা সুষ্ঠু এবং অবাধ হয়েছে কি?”
ভুয়ো এপিক নিয়ে সর্বপ্রথম সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দল। সংসদের উভয়কক্ষেই আলোচনা চেয়ে লাগাতার সরকারকে চাপ দিচ্ছে তৃণমূল। কিন্তু অনুমতি মেলেনি। আরও ১২দিন সংসদের অধিবেশন চলবে। ভুয়ো ভোটার এবং ক্লোনড আধার কার্ড ইস্যুতে আলোচনার দাবিতে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেছে বিরোধীরা। তৃণমূল মনে করছে, রাজ্যসভার কোনও না কোনও বিধি (রুল) অনুযায়ী এপিক ইস্যুতে আলোচনা হতে পারে। রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, “কমিশনের সামান্য বিবৃতিতে আমরা সন্তুষ্ট নই। ক্লোনড তথা ভুয়ো আধার কার্ড ইস্যুতে সরকার কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, সেটাই বড় প্রশ্ন। আমরা চাই সংসদেই এ নিয়ে আলোচনা হোক। কেন্দ্র জবাব দিক। সরকার কেন আলোচনায় ভয় পাচ্ছে? কোনও ষড়যন্ত্র আড়াল করতে চাইছে?”