বিলগ্নিকরণ থেকে আর উঠছে না টাকা! মোদী আমলে সরকারি সংস্থাগুলির ব্র্যান্ড ভ্যালু তলানিতে

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মোদী সরকারের ঘোষিত আর্থিক নীতি হল বিলগ্নিকরণ। সরকারি সংস্থা অবাধে বিক্রি করে যাচ্ছে বিজেপি সরকার। ১১ বছর পর বিলগ্নিকরণের ক্ষেত্রেও সাফল্য আসছে না। সরকারি সংস্থা বিক্রি করতে বিজেপি সরকার মরিয়া হলেও আগ্রহ হারাচ্ছে ক্রেতারা। সরকারি সংস্থার বিলগ্নিকরণ থেকে গত বছরের বাজেটে চলতি অর্থবর্ষে ৫১ হাজার কোটি টাকা আয়ের টার্গেট ছিল। আর্থিক বছর প্রায় শেষের পথে। আয় হয়েছে মাত্র ৯ হাজার কোটি টাকা। যা বিগত ১১ বছরে সর্বনিম্ন! এতেই প্রশ্ন উঠছে, মোদী সরকারের আমলে সরকারি সংস্থাগুলির ব্র্যান্ড ভ্যালু কি তলানিতে?
মোদী সরকারের আমলে বিলগ্নিকরণের তালিকা দীর্ঘ হয়েছে। তালমিলিয়ে বেড়েছে আয়ের টার্গেট। কিন্তু বিলগ্নিকরণ সফলতা পাচ্ছে না। সরকার বহু চেষ্টা করেও কোনও বছরই বিলগ্নিকরণের লক্ষ্যপূরণ করতে পারছে না। ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের সরকারি সংস্থা বিক্রি করে সরকারের আয় মাত্র ৯৩১৯ কোটি টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার ধারেকাছে পৌঁছয়নি। বিগত আর্থিক বছরে যার পরিমাণ ছিল ১৬ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা।
ক্ষমতায় আসার কয়েক বছরের মধ্যে ৩৫টি নামজাদা সরকারি সংস্থার নাম স্থির করে ফেলেছিল মোদী সরকার। বিলগ্নিকরণের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হচ্ছে। কয়েকবছর আগের ঘোষণা ছিল বিলগ্নিকরণ থেকে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার কোটি টাকা আয় হবে। হয়েছিল ৬১ হাজার কোটি টাকা। ১০ দিন পরই সমাপ্ত হবে চলতি আর্থিক বছর। এক বছরে ২,৩৪৫ কোটি টাকায় বিক্রি করা হয়েছে জেনারেল ইনসিওরেন্সের সাড়ে ৩ শতাংশ শেয়ার। ২০১৫ কোটি টাকা আয় করা হয়েছে কোচি শিপইয়ার্ডের ৩.৯৫ শতাংশ অংশীদারিত্ব বিক্রি করে। হিন্দুস্তান জিংকের দেড় শতাংশ বিক্রি করে পাওয়া গিয়েছে ৩৪৪৯ কোটি টাকা। ইউনিট ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া বিক্রি করে ১৫০৯ কোটি টাকা এসেছে।এই কয়েকটি সংস্থার শেয়ার বিক্রি করতে পেরেছে সরকার। তালিকায় ছিল সরকারি ব্যাঙ্ক, সরকারি বৃহৎ উৎপাদন সংস্থা। কিন্তু ক্রেতা পাওয়া যায়নি। তাই বিক্রিও হয়নি।