ভোল বদলে যেতে চলেছে শিয়ালদহ স্টেশনের, খরচ ধরা হয়েছে ২৭ কোটি টাকা

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ভোল বদলে যেতে চলেছে শিয়ালদহ স্টেশনের। কলকাতার এই ব্যস্ত স্টেশনের যে ছবি দেখে আমজনতা অভ্যস্ত, সেই ছবিও নাকি অচিরেই বদলে যাবে বলে দাবি রেলের। এর জন্য খরচ ধরা হয়েছে ২৭ কোটি টাকা। লোকাল ও দূরপাল্লার ট্রেন মিলিয়ে প্রতিদিন ১৫ থেকে ১৮ লক্ষ যাত্রী শিয়ালদহ স্টেশন দিয়ে যাতায়াত করেন।
গাড়ি, অটো বা ট্যাক্সি থেকে নেমে শিয়ালদহ স্টেশনে পৌঁছতে বা ট্রেন থেকে নেমে গাড়ি ধরতে গেলে বেশ কিছুটা পথ পেরতে হয়। গরমের সময় বড় লাগেজ সহ যাত্রীদের এই পথ পেরতে গলদঘর্ম দশা হয়। বর্ষার সময় থাকে ভিজে যাওয়ার দুর্ভোগ। এই কাজ শেষ হলে আম জনতার হয়রানির দিন শেষ হবে বলে আশা করছে রেল। শিয়ালদহ স্টেশনের বাইরের চত্বর ঢেকে দেওয়া হচ্ছে অত্যাধুনিক অস্থায়ী ছাউনিতে। স্টেশন চত্বরের প্রায় সাড়ে ৮ হাজার বর্গমিটার এলাকায় ছাউনি দেওয়ার কাজ ইতিমধ্যে শুরুও হয়ে গিয়েছে। আগামী দিনে এই চোখ ধাঁধানো তাঁবুর নীচেই সব ধরনের গাড়ি দাঁড়াবে।
রেল সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, সংস্কার ও উন্নয়নের এই পর্যায়ে শিয়ালদহ সাউথ সেকশনের যাত্রীদের ঢোকা-বোরনোর জন্য নতুন পথ তৈরি হবে। মেইন সেকশনে নেমে একমাত্র দীর্ঘ পথটি পেরিয়ে দক্ষিণ শাখায় পৌঁছতে হয়। রেলের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের নয়া ক্ষেত্র যুক্ত হবে। যাতায়াতের পথে যাত্রীদের ধাক্কাধাক্কির ঘটনা কমবে। দুর্ঘটনার আশঙ্কাও হ্রাস পাবে বলে আশাবাদী রেলকর্তাদের একাংশ। ট্রেন ধরার তাড়ায় অনেকেই দৌড়োদৌড়ি করেন। সেই সময় পা পিছলে আছাড় খান বহু যাত্রী। এই ধরনের সমস্যা থেকে যাত্রীদের রেহাই দিতে শিয়ালদহ স্টেশনের প্রায় পুরো অংশের বর্তমান মেঝে তুলে ফেলে নতুন করে গড়া হবে। পা পিছলে যাবে না, এমন আধুনিক টালি দিয়ে মুড়ে ফেলা হবে স্টেশনের মেঝে। সাড়ে ৭ হাজার বর্গমিটার এলাকাজুড়ে এই কাজ হবে। এছাড়াও বসবে ডিভিও ওয়াল, ডিসপ্লে বোর্ড, ট্রেনের সময়সূচি জানানোর জন্য ডিজিটাল বোর্ড। সূত্রের দাবি, আগামী বছর বিধানসভা ভোটের ঠিক আগে নবসজ্জিত শিয়ালদহ স্টেশনের উদ্বোধন হবে।