তীব্র দাবদাহ থেকে মুক্তি দিতে কলকাতার কাছেই সেজে উঠছে সবুজে ঘেরা উদ্যান, তৈরি হচ্ছে দ্বিতীয় Eco-পার্ক

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বহুতল আবাসন ঘেরা ব্যস্ততার নাগরিক জীবনের হাঁসফাঁস পরিস্থিতি থেকে সাময়িক মুক্তির জন্য এক টুকরো সবুজের আশ্রয়ে তৈরি হয়েছিল নিউটাউনের ইকো পার্কে। অল্প সময়ের মধ্যে কলকাতা শহরের অন্যতম জনপ্রিয় ভ্রমণ কেন্দ্র হিসেবে নিজের পরিচিতি গড়ে তুলেছে ইকোপার্ক। তবে এবার সেই একই ধাঁচে দ্বিতীয় ইকোপার্ক তৈরি হচ্ছে কলকাতা লাগোয়া শহরতলী মধ্যমগ্রামে।
মধ্যমগ্রামের ইকো পার্কের পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছিল প্রায় ৫ বছর আগে। তবে, তৎকালীন পুরসভা চেয়ারম্যান এবং বর্তমান খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের উদ্যোগে পরিকল্পনাটি এগিয়ে চলেছে। তিনি একটি বড় প্রকল্প হিসেবে এই পার্কটি তৈরি করার চিন্তা করেছিলেন, যাতে সারা বছর পরিবেশ সচেতনতায় প্রভাব পড়বে। এই ইকো পার্কের জন্য পুরসভা ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের পানিহারা এলাকায় ১০ একর জমি চিহ্নিত করে। তখনই শুরু হয়েছিল প্রোজেক্ট প্ল্যানিং। কিন্তু কিছু কারণে কাজ শুরু করতে দেরি হচ্ছিল। বিশেষ করে, অর্থের জটিলতা এক বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তবে, সম্প্রতি এই সমস্যা মিটে যাওয়ায়, কেএমডিএ-র সহায়তায় খুব দ্রুত গতিতে কাজ শুরু হয়েছে।
নতুন ইকো পার্ক মধ্যমগ্রামে হওয়ায় এদিকে যেমন বারাসতের মানুষজনের কাছাকাছি হচ্ছে, তেমনই খড়দা, ব্যারাকপুর ও জেলার মানুষদের সুবিধা হতে চলেছে। অন্যদিকে নিউটাউনের ভিড়ও কিছুটা সামাল দেওয়া সম্ভব হবে।
পার্কের ভিতরে একটি বড় জলাশয় থাকছে। বোটিং করার সুযোগ থাকবে সেখানে। এছাড়াও জলাশয়ের উপর দিয়ে যাতায়াতের জন্য তৈরি হচ্ছে একটি ব্রিজ থাকবে। নিউটাউনের ইকো পার্কের মতো যথেষ্ট আলোর ব্যবস্থাও থাকছে মধ্যমগ্রামের ইকো পার্ক জুড়ে। বাচ্চাদের খেলার জন্য তৈরি হচ্ছে মাঠ। প্রবীণদের সময় কাটানো ও আড্ডা মারার জন্য থাকছে বসার ব্যবস্থা। এছাড়াও, খিদে পেলে মুশকিল আসানের জন্য থাকছে ফুড কোর্টের ব্যবস্থা। ‘পার্কের ভিতরে ফল ও ফুলের প্রচুর গাছ লাগানো শুরু হয়ে গিয়েছে। পার্কিং জোনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।