GST-তে আধার যাচাই শুরু করে ভুয়ো সংস্থাগুলিকে চিহ্নিত করা হচ্ছে

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: গত আগস্ট থেকে রাজ্যে চালু হয় জিএসটির ক্ষেত্রে আধার যাচাইকরণ। যেসব সংস্থা জিএসটি রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করছে, তাদের তরফে বেশকিছু নথি জিএসটি সংক্রান্ত পোর্টালে জমা করা বাধ্যতামূলক। সেই নথিগুলি খতিয়ে দেখার কথা অর্থদপ্তরের। সেখানে ডেটা অ্যানালিটিক্স এবং রিস্ক প্যারামিটারের ছাঁকনিতে দেখা হয় আবেদনগুলি। তারপর আধার যাচাইকরণের জন্য সংস্থার কর্তাদের ডাকা হয় জিএসটি সুবিধা কেন্দ্রে। রাজ্যের নানা প্রান্তে চালু হয়েছে এমন বেশ কয়েকটি সুবিধা কেন্দ্র।
কর্তারা বলছেন, আধার যাচাই করার ক্ষেত্রে পাছে বেআইনি নথি বা অসত্য তথ্য সামনে এসে যায়, তাই অনেক সংস্থাই রেজিস্ট্রেশনের পথে হাঁটছে না। এর ফলে নামছে নতুন করে নথিভুক্ত হওয়া সংস্থার সংখ্যা। চলতি অর্থবর্ষ, অর্থাৎ ২০২৪-২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জিএসটি রেজিস্ট্রেশন মিলেছে প্রায় ৩৯ হাজার সংস্থার। নয়া রেজিস্ট্রেশনের হার কমায়, তা কি জিএসটি আদায়ের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে? দপ্তরের কর্তারা বলছেন, বাস্তব ঠিক তার উল্টো। গত ফেরুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যে জিএসটি আদায় বেড়েছে গত অর্থবর্ষের তুলনায় ১১.৬ শতাংশ।
ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট বাবদ জিএসটি প্রতারণা ছাড়াও আরও নানা অসৎ উদ্দেশ্যে জিএসটি রেজিস্ট্রেশন নেয় বিভিন্ন সংস্থা। দপ্তর সূত্রের খবর, চলতি অর্থবর্ষে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৪৮২ কোটি টাকার ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট বাবদ প্রতারণা ধরা পড়েছে। অভিযুক্ত সংস্থাগুলির কাছ থেকে ইতিমধ্যেই ১৫৬ কোটি টাকা আদায় করা সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য ক্ষেত্রে জিএসটি ফাঁকি রুখতে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২,৭১০টি সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে রাজ্য অর্থদপ্তর। প্রযুক্তিকে কাজে লগিয়ে এবং সরাসরি সংস্থার ঠিকানায় হানা দিয়ে তদন্ত এগয় প্রশাসন। তাতে ফলও মেলে হাতেনাতে। ৭৫১ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে এই সংস্থাগুলির থেকে, বলছেন দপ্তরের কর্তারা।