এবার চানাচুর, রাবড়ি, বোঁদে ‘জিআই’ স্বীকৃতি পাওয়ার পথে

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: অনেক লড়াই করে ভৌগোলক স্বীকৃতি (জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন বা জিআই) আদায় করতে হয়েছিল বাংলার রসগোল্লাকে। তথ্য বলছে, সেখানেই থেমে থাকেনি রাজ্য প্রশাসন। এবার জয়নগরের মোয়া, সুন্দরবনের মধু কিংবা দার্জিলিং-এর চায়ের সঙ্গে এক আসনে বসতে চলেছে চানাচুর, হুগলির রাবড়ি গ্রামের রাবড়ি এবং কামারপুকুরের সাদা বোঁদে। শীঘ্রই বাংলার এই তিনটি বিশেষ পণ্যেরও ভৌগোলিক স্বীকৃতি (জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন বা জিআই) মিলবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্ট মহল। আন্তর্জাতিক বাজার দখলে যার গুরুত্ব বিপুল।
রাজ্যের দাবি, খাদ্য, হস্তশিল্প-সহ বিভিন্ন পণ্য মিলিয়ে বাংলায় জিআই পণ্যের সংখ্যা ২৭। কমপক্ষে আরও ১৮টি পণ্য এই তকমা পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। এর মধ্যে অন্যতম সাদা বোঁদে। সূত্রের খবর, চানাচুর ও রাবড়ির ক্ষেত্রে জিআই পাওয়ার আবেদনের কাজ চলছে। অচিরেই তা জমা পড়বে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে। রাবড়ি ও সাদা বোঁদের জন্ম একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে হলেও চানাচুরের সঙ্গে তেমন কোনও এলাকা যুক্ত নেই। সূত্রের দাবি, ‘বাংলার রসগোল্লা’-র মতোই জিআই তকমা পেতে তার পরিচয় ‘বাংলার চানাচুর’।
জিআই সংক্রান্ত আইনগত বিষয়গুলি দেখা, নথি তৈরি, আবেদন-সহ বিভিন্ন বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলির অন্যতম একটি রাজ্যের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব জুড়িডিক্যাল সায়েন্স (এনইউজেএস)। এখানকার মেধাসত্ব সংক্রান্ত বিষয়ের চেয়ার প্রফেসর তথা জিআই বিষয়ক ক্ষেত্রের প্রধান পিনাকী ঘোষ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমরা বাংলার চানাচুর এবং হুগলির রাবড়ি গ্রামের রাবড়ির জন্য আবেদন করছি। বাংলার চানাচুর কোনও বিশেষ এলাকা, সংস্থা বা গোষ্ঠীর সম্পত্তি নয়। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ছোট ছোট কারিগর ও ব্যবসায়ীরা এর সঙ্গে যুক্ত। তাঁদের স্বার্থ রক্ষায় এই উদ্যোগ। জিআই পেলে এই ছোট ব্যবসায়ীরা যেমন উপকৃত হবেন, তেমনই এখানে জিআই তকমাপ্রাপ্ত পণ্যের সংখ্যা বাড়বে।’’