সেলুলার জেলে বিপ্লবী উল্লাসকর, বারীনের মূর্তি হচ্ছে না, সংসদে জানাল কেন্দ্র, ক্ষুব্ধ তৃণমূল

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সেলুলার জেলে বাংলার যে সমস্ত স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন, তাঁদের বিশেষ ‘স্বীকৃতি’ দেওয়া হয়নি সেখানে৷ সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদের প্রশ্নের জবাবে সরকারের অবস্থান এটাই বলে জানালেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।
আন্দামানের জেলে বাঙালি বিপ্লবী উল্লাসকর দত্ত এবং বারীন্দ্রকুমার (বারীন) ঘোষের মূর্তি নির্মাণের কোনও পরিকল্পনা নেই কেন্দ্রীয় সরকারের। রাজ্যসভায় বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক। তার পরেই ক্ষোভপ্রকাশ করে তৃণমূল। তাদের দাবি, এই সরকার ‘বাঙালি-বিরোধী’। প্রসঙ্গত, তৃণমূলের সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক। তার পরেই তিনি ক্ষোভপ্রকাশ করে জানান, এই সরকার বাঙালি বিপ্লবী উল্লাসকর, বারীনদের কী চোখে দেখে, তা প্রমাণিত। আন্দামানের সেলুলার জেলকে কেন এত দিনে জাতীয় স্মৃতিস্তম্ভ বলে ঘোষণা করা হল না, তা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি।
তৃণমূল সাংসদ এই বিষয়টিকে ‘বাংলার প্রতি চরম অপমান’ বলে অভিযোগ করেছেন। ঋতব্রতর বক্তব্য অনুযায়ী, নথিভুক্ত তথ্যে উল্লেখ রয়েছে, ১৯০৮ সালে আলিপুর বোমা মামলায় এই দুই স্বাধীনতা সংগ্রামীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তবে পরে তাঁদের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং দুজনকে সেলুলার জেলে পাঠানো হয়। সেলুলার জেলে তাঁদের ওপর নির্যাতনের কথা মনে করিয়ে ঋতব্রত বলেন, ‘সবচেয়ে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন উল্লাসকর দত্ত। সেই সময় পোর্ট ব্লেয়ারে বিদ্যুৎ ছিল না। কলকাতা থেকে ব্যাটারি এনে উল্লাসকর দত্তকে বছরের পর বছর বৈদ্যুতিক শক দিয়ে নির্যাতন চালানো হয়েছিল। ১৯১৫ সালে বারীন ঘোষ সেলুলার জেল থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন, যা তখন পর্যন্ত প্রায় অসম্ভব বলে মনে করা হত। পরে ধরা পড়ে যাওয়ায় তাঁকে পাঁচ বছর নিঃসঙ্গ কারাবাসে রাখা হয়েছিল। ’
তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি সরকার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর শুধু সেলুলার জেলের অন্যতম বন্দি বীর সাভারকরের প্রচার করেছে। অথচ বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অবদান নিয়ে কোনওভাবে প্রচার করেনি।