রাজ্যে সাম্প্রদায়িক অশান্তির আশঙ্কা, প্রশাসনের পর মানুষকে সতর্ক থাকার বার্তা বাম-কংগ্রেসেরও

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সোমবার দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে খুশির ঈদ। আগামী রবিবার পালিত হবে রামনবমী। এই আবহে বাংলায় অশান্তি বাধানোর চেষ্টা হতে পারে বলে মনে করছে রাজ্য প্রশাসনের একাংশ। একই মত বিরোধী শিবিরেও, বাম ও কংগ্রেস চিন্তিত। উদ্বেগ প্রকাশ করে রবিবার সন্ধ্যায় বিবৃতি জারি করেছে রাজ্য বামফ্রন্ট। বিবৃতি প্রকাশ করেছেন বর্ষীয়ান রাজনীতিক তথা রাজ্য বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু। কার্যত একই বার্তা দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার।
বিমান বসু বিবৃতিতে লিখেছেন, “সোমবার সারা দেশের সঙ্গে এ রাজ্য ঈদ উৎসব পালিত হবে। আবার নবরাত্রি শুরু হয়েছে এবং রামনবমীও পালিত হবে। বাংলার চিরাচরিত ঐতিহ্য রক্ষা করে শান্তি ও সম্প্রীতির বাতাবরণে এই উৎসব পালনের জন্য রাজ্যের সকল অংশের মানুষের কাছে বামফ্রন্ট আহ্বান জানাচ্ছে। সাম্প্রদায়িক শক্তি মানুষের মধ্যে বিভাজনের জন্য প্ররোচনা তৈরি চেষ্টা চালাবে, এমন আশঙ্কা কোন ভাবেই উপেক্ষা করা যায় না। ইতিমধ্যে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত ভাবে এ ধরনের কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। সমস্ত ধরনের প্ররোচনা উপেক্ষা করে সাম্প্রদায়িক ঐক্য ও সংহতি রক্ষার জন্য জনগণের কাছে বামফ্রন্ট আবেদন জানাচ্ছে।”

প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি শুভঙ্কর সরকার এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, “আমাদের সামনে পবিত্র ঈদ এবং পবিত্র রামনবমী রয়েছে। এই দু’টি উৎসবকে কেন্দ্র করে কিছু সঙ্কীর্ণমনা রাজনৈতিক দল, তারা ধর্মীয় মেরুকরণের মধ্যে দিয়ে ২০২৬ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে দ্বিমুখী রাজনীতির কৌশল নিতে চাইবেন। ইতিমধ্যে সেই কাজটা শুরু হয়ে গিয়েছে। আমি প্রশাসনের কাছে আবেদন করব যারা গোলমাল পাকাতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নিন। তাদের দৃষ্টান্তমূলক সাজার ব্যবস্থা করুন। কোনও ভাবেই আমাদের এই সমাজে অশান্তি করা যাবে না।”
ঈদ এবং রামনবমী, দুই ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সময় অশান্তি বাঁধানোর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে কোনও কোনও মহল থেকে খবর এসেছে প্রশাসনের কাছে। কলকাতা এবং রাজ্য পুলিশ সাধারণ মানুষকে সতর্ক করেছে। জানানো হয়েছে, যেকোনও ধরনের পরিস্থিতি কঠোর হাতে মোকাবিলা করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। দুই পুলিশ কর্তা সাংবাদিক বৈঠক করে মানুষকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।