১০০ বছরের পূর্তিতে কলকাতা বিমানবন্দরকে সাজিয়ে তুলতে একগুচ্ছ পরিকল্পনা

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ১৯২৪ সাল থেকে পথ চলা শুরু করে কলকাতা বিমানবন্দর। গত বছর শুরু হয়েছে বিমানবন্দরের ১০০ বছর পূর্তি পর্ব। শতবর্ষের সেই অনুষ্ঠান শেষ হবে এবার। ১০০ বছরের পূর্তিকে মাথায় রেখে একাধিক পদক্ষেপ করেছে কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। এএআইয়ের হিসেবে, এখন দেশের ষষ্ঠতম ব্যস্ত বিমানবন্দর কলকাতা। আগামীদিন কলকাতা বিমানবন্দরকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সংযোগ হাব হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের। কলকাতা বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৮-২৯ সালে ডোমেস্টিক ফ্লাইটের যাত্রীসংখ্যা পৌঁছবে তিন কোটি ৭৭ লক্ষে। আর ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইটে বিমানযাত্রী বেড়ে হবে চার লক্ষ ৬৬ হাজার। যাত্রীসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পর্যাপ্ত আধুনিক ব্যবস্থা রাখার দিকে ঝুঁকছে কর্তৃপক্ষ।
পাঁচ হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ করে নতুন টার্মিনাল বিল্ডিং তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তাতে পুরনো টার্মিনাল বিল্ডিংয়ের একটা বড় অংশ ভেঙে ফেলা হবে। টার্মিনাল বিল্ডিং সম্প্রসারিত হবে ৭১ হাজার বর্গফুটে। এতে আর্ন্তজাতিক বিমান যাত্রীদের জন্য বরাদ্দ থাকছে চার ভাগের তিন ভাগ অংশ। কাজ এখন দ্রুততার সঙ্গে এগচ্ছে। আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এই পর্বের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের। আর্ন্তজাতিক বিমানের যাত্রীদের আসা-যাওয়ার পরিধি বড় করা হবে। অভিবাসন, কাস্টমস বিভাগটি পুর্নগঠন করবে কর্তৃপক্ষ। তারজন্য ৩২ হাজার বর্গফুটের জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে।
এছাড়াও কলকাতা বিমানবন্দরে নতুন এটিসি তৈরি হয়েছে ১৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে। এখন সেখানে পরীক্ষামূলকভাবে দিনে দু’ঘণ্টা কাজ শুরু হয়েছে। এবছরের শেষ অথবা আগামী বছরের শুরুতে নয়া এটিসি টাওয়ার পুরোমাত্রায় কাজ শুরু করবে, এমন লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া ২২৪ কোটি ব্যয়ে বিমানবন্দরের দ্বিতীয় রানওয়ে সম্প্রসারণের কাজ চলছে।