২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে রেকর্ড বাণিজ্যিক কর আদায় হয়েছে বাংলায়

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সদ্য শেষ হওয়া ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে রেকর্ড বাণিজ্যিক কর আদায় হয়েছে বাংলায়। ৬৬ হাজার কোটি টাকা। গত আর্থিক বছরের তুলনায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা বেশি। এর ফলে একাধিক ডাবল ইঞ্জিন রাজ্যকে পিছনে ফেলে নিজস্ব আয়ের নিরিখে ষষ্ঠ স্থানে উঠে এসেছে বাংলা।
রাজ্যে বাণিজ্যিক কর বা কমার্শিয়াল ট্যাক্স বাবদ আদায় মূলত নির্ভর করে রাজ্যের জিএসটি আদায়, বিক্রয় কর, বিদ্যুৎ শুল্ক, প্রফেশনাল ট্যাক্স এবং কোল সেস আদায়ের উপর। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই আদায় বেড়েছে বাংলায়। নজর করার মতো বিষয় হল, বাংলার জিএসটি আদায়ের হার দেশের গড় হারের থেকেও প্রায় দুই শতাংশ বেশি।
অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকারের মতে, ‘জিএসটি আদায় সেই রাজ্যের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার প্রতিফলন। এর থেকেই পরিষ্কার, বাংলায় মানুষের ক্রয়ক্ষমতা অনেকগুণ বেড়েছে।’ এছাড়া বিক্রয় কর বাবদ আয় নির্ভর করে মূলত পেট্রল, ডিজেল এবং বিমানের জ্বালানি (এটিএফ) বিক্রির উপর। ফলে এই খাতের আয় বৃদ্ধি রাজ্যের বাণিজ্যিক সুস্বাস্থ্য প্রমাণ করে বলেই মত প্রশাসনিক কর্তাদের। রাজ্যের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একেবারে তৃণমূল স্তর পর্যন্ত সব প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছেছে। এর জেরেই আজ ঘুরে দাঁড়িয়েছে রাজ্যের অর্থনীতি। নিজস্ব আয়ের নিরিখে বহু রাজ্যকে পিছনে ফেলার পাশাপাশি ছাপিয়ে গিয়েছে কেন্দ্রের গড়কেও।’
এখনও রাজ্যের প্রাপ্য প্রায় ১.৭১ লক্ষ কোটি টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনার মতো প্রকল্পের ভার বইতে হচ্ছে রাজ্য সরকারকেই। পাশাপাশি, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রীর মতো সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প যেমন আম আদমির পায়ের তলার জমি শক্ত করেছে, তেমনই হাতে টাকার জোগানও বাড়িয়েছে। বিরোধীরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জনপ্রিয়তার সঙ্গে ভোটযুদ্ধে এঁটে না উঠতে পেরে কাদা ছোড়াছুড়ি করছে। অথচ, তাদের শাসিত রাজ্যে এই প্রকল্পেরই অনুকরণে চালু হয়ে যাচ্ছে মানুষের হাতে সরাসরি টাকার জোগান বাড়ানোর স্কিম। আর কেন্দ্রের তৈরি করা কঠিন অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে নিজস্ব আয় বৃদ্ধির দিকে নজর দিতে হচ্ছে নবান্নকে। বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনেও নিজস্ব আয় বৃদ্ধিতে জোর দেওয়ার বিষয়টি জানিয়েছিলেন চন্দ্রিমাদেবী। শেষমেশ তারই সুফল পাচ্ছে মানুষ এবং অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতি। দেখা যাচ্ছে, বাণিজ্যিক কর ছাড়াও জমি-বাড়ি রেজিস্ট্রেশন, ভূমি রাজস্ব এবং আবগারি শুল্ক বেড়েছে রাজ্যে