Ghibli ছবি বানাচ্ছেন, জানেন কোথায় যাচ্ছে আপনার ছবি, অজান্তেই বিপদ ডেকে আনছেন না তো?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: লিয়োনেল মেসি থেকে শুরু করে ডোনাল্ড ট্রাম্প, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে আপনার পাশের বাড়ির বাসিন্দাও ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে ফেলেছেন নিজের কার্টুন ছবি! যার নাম ‘জিবলি আর্ট’।
দু’মিনিটে এমন ‘জিবলি’ ছবি তৈরির তোড় দেখে কেউ কেউ অবশ্য বলছেন, এত সহজে ঘণ্টার পর ঘণ্টার ধরে তৈরি করা শিল্পকে মিনিটে AI দিয়ে বানিয়ে, কোথাও গিয়ে শিল্পের মানকে ফেলে দেওয়া হচ্ছে না তো? এই বিতর্কের মাঝে আরও একটা শঙ্কাও কিন্তু তৈরি হয়েছে এই ‘জিবলি’ ছবি ঘিরে।
কোথায় যাচ্ছে আপনার ছবি? কোথায় হচ্ছে স্টোর? কোন অদৃশ্য তৃতীয় ‘ব্যক্তি’ জিবলি শিল্পে রূপ দিচ্ছে আপনাকে? তার কোনও হদিশ নেই। সবটাই হচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (এআই) সহায়তায়। সেখানেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের আশঙ্কা, ‘ট্রেন্ডি নেটিজেনদের’ মুখাবয়ব ব্যবহার করে নতুন করে সাইবার হানার ঘুঁটি সাজাতে পারে জালিয়াতরা। ডার্ক ওয়েবের হাতে যেতে পারে সাধারণ মানুষের ‘মুখ’। এই আশঙ্কাই এবার ঘুম উড়িয়েছে পুলিসেরও। তাই সচেতনতার বার্তার পথে হাঁটতে শুরু করছে সাইবার পুলিস।
আপনার যে কোনও ছবি চ্যাটজিপিটি’র একটি বিশেষ পেজে আপলোড করলে নিমেষে তৈরি হয়ে যাবে ‘জিবলি ভার্সন’। চ্যাটজিপিটির পাশাপাশি, একাধিক থার্ড পার্টি অ্যাপও তৈরি হয়ে গিয়েছে নেটিজেনদের উৎসাহ মেটাতে। সেই অ্যাপগুলিতে রয়েছে বেশ কিছু শর্ত। তাতে সম্মতি জানালে তবে তারা তৈরি করবে আপনার ‘জিবলি’। সাইবার বিশেষজ্ঞদের কথায়, প্রায় ৯৯ শতাংশ মানুষ সেই শর্তাবলী পড়েন না। ফলে থার্ড পার্টি অ্যাপগুলি আম জনতার ছবি স্টোর করে রাখছে। পরে সেই ছবি কাজে লাগিয়েই হতে পারে সাইবার অপরাধ।
সাইবার বিভাগ সূত্রে খবর, আগে মোবাইলে স্ক্রিন রেকর্ডার অন করে সেক্সটরশনের ভয় দেখাত প্রতারকরা। সেখানেও প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বের করে নেওয়া হত প্রতারিতের মুখের ছবি। এখানেও একইভাবে মুখের ছবি থার্ড পার্টি অ্যাপগুলি ডার্ক ওয়েবে চড়া দামে বিক্রি করে দিতে পারে। এমনই আশঙ্কা করছে সাইবার বিভাগ। সেক্ষেত্রে ‘ডিপফেক’এর মাধ্যমে একজনের মুখ ব্যবহার করে প্রতারণা চালাতে পারে জালিয়াতরা।