রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

হাতি তাড়াতে জঙ্গলে শুকনো পাতায় আগুন দিলে কড়া ব্যবস্থা

April 3, 2025 | < 1 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: এই সময় জঙ্গলের শুকনো পাতায় আগুন লাগলে তা দাবানলের আকার নেয়। পুড়ে খাক হয়ে যাচ্ছে বিস্তীর্ণ এলাকার বনভূমি। মৃত্যু হচ্ছে জঙ্গলের পশু পাখিরও। এই অবস্থায় বাঁকুড়া উত্তর বনবিভাগ এলাকায় ঘাঁটি গেড়ে থাকা ৬৫টি হাতি নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছে বনদপ্তর। কোনও কারণে জঙ্গলে আগুন লাগলে হাতিগুলি বেরিয়ে পড়বে। তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা মুশকিল হবে বলে বনদপ্তরের আধিকারিকরা আশঙ্কা করছেন। বিষয়টি নিয়ে বনদপ্তর প্রচার শুরু করতে চাইছে। তারপরেও কেউ জঙ্গলে আগুন লাগালে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে বনদপ্তরের আধিকারিকরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, পাতা ঝরার মরশুমে প্রতি বছরই জঙ্গলে ইচ্ছাকৃতভাবে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ শোনা যায়। যার ফলে আশঙ্কা থাকে জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার। গাছের ক্ষতির পাশাপাশি কীটপতঙ্গ ও বন্যপ্রাণীদেরও জীবন বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই জঙ্গলে আগুন লাগানোর প্রবণতা রুখতে প্রতিবছরের মতো এবারও তৎপর হয়েছেন বনকর্তারা।

জেলার পাঞ্চেত বনবিভাগজুড়েও রয়েছে বিস্তীর্ণ বনভূমি। ঘন জঙ্গলে খরগোশ, বনবিড়াল, বনশুয়োর, শিয়াল, গো-সাপ, ময়ূর থেকে শুরু করে নানা বন্যপ্রাণীর ঘোরাফেরা তো আছেই, পাশাপাশি জয়পুরের জঙ্গলে হরিণেরও অবাধ বিচরণ রয়েছে। ওই বনবিভাগের বাঁকাদহ, জয়পুর ও বিষ্ণুপুর রেঞ্জ এলাকায় হাতির করিডর রয়েছে। সব দিক মাথায় রেখে সেখানেও জঙ্গলে আগুন ঠেকাতে বনদপ্তর তৎপর হয়েছে। জঙ্গলের পাশাপাশি শুশুনিয়া, বিহারিনাথ পাহাড়কেও দাবানলের হাত থেকে রক্ষা করতে বনদপ্তর নজরদারি শুরু করেছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Fire, #FOREST, #Elephants

আরো দেখুন