গরমে ডুয়ার্স যাবেন? জেনে নিন বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের নতুন নিয়মকানুন

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: গরম বাড়ছে এবার পাহাড় থেকে ডুয়ার্সে জমবে ভিড়। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে সাফারি করতে ভিড় বাড়াবেন পর্যটকরা। এবার থেকে নতুন নিয়ম চালু হয়েছে। এখন থেকে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে যেতে হলে ‘এন্ট্রি পারমিট’ বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। জিপসি সাফারি করলে আধার কার্ড বা অন্য কোনও সরকারি পরিচয়পত্র আগে জমা দিতে হবে পর্যটকদের। তবেই মিলবে ‘এন্ট্রি পারমিট’। যদিও জঙ্গলে প্রবেশ করার জন্য কোনও মূল্য দিতে হবে না।
আধার কার্ড বা অন্য কোনও সরকারি পরিচয়পত্র জমা করলে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের কর্মীরা তা নথিভুক্ত করে রাখবেন। কারা আসছেন, কোন তারিখে আসছেন সেসব তথ্য লিপিবদ্ধ থাকবে। প্রবেশের ক্ষেত্রে কোনও টাকা লাগবে না কারণ গত ২২ জানুয়ারি আলিপুরদুয়ারে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে দিয়েছিলেন, পর্যটকদের প্রবেশ মূল্য দিতে হয়। অবিলম্বে তা প্রত্যাহার করা হোক। তার পর থেকেই প্রবেশমূ্ল্য উঠে গিয়েছে। তৃণমূল বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালের থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানতে পারেন বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে তথা জঙ্গলে প্রবেশ করার জন্য পর্যটকদের মোটা টাকা দিতে হয়। এরপর রাজ্যের সংরক্ষিত বনাঞ্চলগুলিতে প্রবেশ মূল্য তুলে দেওয়া হয়।
এতেই পর্যটকদের ভিড় বেড়ে গিয়েছে বলে মনে করছে বন দপ্তর। অভিযোগ, একশ্রেণির লোকেরা এই সুযোগের অপব্যবহার করে অবাধে জঙ্গলে প্রবেশ করছেন এবং নানা গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছেন। এমনকী কিছু স্থানীয় অসাধু ব্যবসায়ীরাও এই সুযোগে বক্সায় ঢুকে গাছ কেটে পাচার করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নড়েচড়ে বসেছে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প কর্তৃপক্ষ। তাই এবার থেকে পর্যটকদের নাম এবং পরিচয়-সহ নথি লিপিবদ্ধ করা হবে।
এবার থেকে পর্যটকদের পরিচয়পত্র জমা রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। রাজাভাতখাওয়া চেক পোস্টে পর্যটকদের পরিচয়পত্র জমা দিতে হবে। কোনও প্রবেশমূল্য ছাড়াই ‘এন্ট্রি পারমিট’ দেওয়া হবে। প্রত্যেক পর্যটককে ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন অথরিটির গাইডলাইন মেনে চলতে হবে। কোনও বন্যপ্রাণীদের বিরক্ত করা যাবে না, হর্ন বাজানো যাবে না, স্পট লাইট ব্যবহার করা যাবে না।