রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

২০২২ সালের প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ২ হাজার ২৩২টি শূন্যপদ পূরণে কোনও বাধা নেই, জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট

April 5, 2025 | < 1 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ২০২২ সালে প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ২ হাজার ২৩২টি শূন্যপদ পূরণে কোনও বাধা নেই। ২০১৪ সালে যাঁরা টেট পাশ করেছিলেন, ’২২ সালে বিজ্ঞপ্তি জারির সময় তাঁদের ডিএলএড প্রশিক্ষণ না থাকলেও তাঁরা চাকরি পাবেন। কারণ, নিয়োগের সময় তারা প্রশিক্ষণের শংসাপত্র পেয়ে গিয়েছেন। শুক্রবার এই রায়ই দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পি নরসিমা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চ । বৃহস্পতিবার প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীর চাকরি বাতিলের ক্ষতে এই রায় কিছুটা হলেও প্রলেপ।

প্রাথমিকে ১১ হাজার ৭৬৫ পদে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০২২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। প্রাথমিকে শিক্ষকতার যোগ্যতামান দু’বছরের ডিএলএড এবং উচ্চ মাধ্যমিকে ৫০ শতাংশ নম্বর। পাশ করতে হয় টেট। ২০২২ সালের ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেন ২০১৪ এবং ’১৭ সালের টেট উত্তীর্ণরা। ৯ হাজার ৫৩৩ জনের নিয়োগও হয়। গোল বাঁধে বিজ্ঞপ্তি জারির সময় ডিএলএড প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ না হওয়া একাংশকে নিয়ে। কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ মানবিকতার খাতিরে উক্ত প্রার্থীদের চাকরির সুযোগ দিতে বলে। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চ সেই রায় বাতিল করে দেয়। তাকে চ্যালেঞ্জ করেই মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। ২০২৩ সালের ৬ জুলাই থেকে চলছে মামলা। ২২ বার শুনানি শেষে গত ৩ মার্চ রায় রিজার্ভ রাখা হয়। ঘটনাচক্রে, সেইদিনই অবস্থান বদল করেছিল পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। আগে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের পক্ষে থাকলেও সেদিন তারা জানায়, পর্ষদ ডিভিশন বেঞ্চের পক্ষে।
এদিন রায়দানের সময় বিচারপতি নরসিমা বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার সম্পর্কে অনেক কিছুই বলতে পারতাম। কিন্তু কিছু বলছি না। নিয়োগের নির্দেশ দিচ্ছি।’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Supreme Court of India, #Primary Recruitment

আরো দেখুন