ভেজাল ওষুধের রমরমা রুখতে তৎপর রাজ্য, জারি নির্দেশিকা

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ভেজাল ওষুধের রমরমা রুখতে ইতিমধ্যে নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম, জাল ওষুধের কারবার রুখতে সব সরকারি হাসপাতালের মেডিক্যাল স্ট্রোরকে বিশেষ পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছে। পরীক্ষার পদ্ধতি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
যেসব ওষুধ হাসপাতালে নিয়মিত দরকার হয়, প্রতি বছর তার তালিকা তৈরি হয়। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ১ হাজার ৭০০ ওষুধ বাংলা-সহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে রোগ-ব্যাধি কমাতে দরকার হয়। বিরল এবং অতি বিরল রোগের জন্য প্রায় ৩০০ রকমের ওষুধ, ইনজেকশন আছে। এই ওষুধ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে সংগ্রহ করতে হয়। মেডিক্যাল কলেজ বা হাসপতালের সিনিয়র রেসড্যান্ট অথবা সহকারী অধ্যাপক চিকিৎসকরা ভেজাল ওষুধ নিয়ন্ত্রণের জন্য দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতিটি ওষুধ অথবা ইনজেকশন ব্যবহারের আগে ব্যাচ নম্বর নথিভুক্ত করতে হবে। দিনের শেষে তা হাসপতালের উপাধ্যক্ষকে (মেডিক্যাল) পাঠাতে হবে। চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে সব তথ্য জেলা ড্রাগ কন্ট্রোল আধিকারিক বা জেলাশাসককে পাঠাতে হবে। ভেজাল ওষুধ চিহ্নিত করতে ধারাবাহিক অভিযান চালানো হবে।
সন্দেহভাজন ওষুধ কিনে সাধারণ মানুষ যাতে প্রতারিত না হন সেই লক্ষ্যে কেন্দ্রের ড্রাগ কন্ট্রোল জেনারেল অফ ইন্ডিয়া কিউআর কোড পাঠিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্যভবনকে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কোনও ওষুধ দোকানে এলে তার বিস্তারিত তথ্য খতিয়ে দেখতে হবে ওষুধ বিক্রেতাকে। কিউআর কোড স্ক্যানে যে ৩০০টি নকল ওষুধ চিহ্নিত হয়েছে, তার সঙ্গে এই ওষুধগুলির যদি মিল থাকে তবে তা নকল বলে ধরে নিতে হবে। গ্রাহকরাও যাতে সতর্ক হন তাই দোকানেও ঝুলিয়ে রাখতে হবে কোড। এবার সব ওষুধের দোকানে ও হোলসেলারদের গুদামে ওই কিউ আর কোড সাঁটানোর নির্দেশ দিতে চলেছে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল। ফলে ক্রেতা ও বিক্রেতা সব পক্ষই ওষুধ যাচাই করে নিতে পারেন।