পাখির চোখ ২০২৬, এপ্রিল পড়তেই সংগঠন ঘোছাতে আরম্ভ করল তৃণমূল

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বছর ঘুরলেই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন, তার আগে পুরোদমে সাংগঠনিক কাজ শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বাংলার ৩৫টি সাংগঠনিক জেলায় বুথ লেভেল এজেন্ট নিয়োগের ক্ষেত্রে একাধিক নতুন মুখকে দায়িত্ব দিয়েছে বাংলার শাসক শিবির। নির্বাচনী প্রক্রিয়া বোঝেন, ভোটার তালিকা খুঁটিয়ে পরীক্ষা করেন, বুথের কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে, এমন ব্যক্তিদের বুথ লেভেল এজেন্ট বা বিএলএ ১ পদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে তাঁরাই বুথে বুথে বিএলএ ২ নিয়োগ করবেন।
ভুয়ো ভোটার খোঁজার কাজ চালাচ্ছে তৃণমূল। জেলায় জেলায় চলছে স্ক্রুটিনি পর্ব। কোনওরকম অসঙ্গতি নজরে এলেই নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে তৃণমূল। তৃণমূলের ৩৫টি সাংগঠনিক জেলায় বিএলএ ১-দের তালিকা তৈরি করেছে তৃণমূল। বীরভূম জেলায় দায়িত্ব পেয়েছেন দীপক রায়। পুরুলিয়ায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি সুশেন মাঝিকে। বাঁকুড়ায় জেলা পরিষদের সদস্য প্রদীপ চক্রবর্তীকে ওই পদে বসানো হয়েছে। ঝাড়গ্রামে দায়িত্ব পেয়েছেন প্রসূন সারেঙ্গি।
পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলায় বিএলএ ১–র দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিধায়ক অজিত মাইতিকে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ক্ষেত্রে তমলুক সাংগঠনিক ক্ষেত্রে বিএলএ ১ পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিধায়ক তিলক চক্রবর্তীকে। কাঁথির সাংগঠনিক জেলার ক্ষেত্রে এই দায়িত্ব পেয়েছেন বিধায়ক উত্তম বারিক।
দমদম-বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার ক্ষেত্রে এই দায়িত্ব পেয়েছেন সাংসদ পার্থ ভৌমিক। বারাসাতে সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। উত্তর কলকাতায় সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দক্ষিণ কলকাতায় দায়িত্ব পেয়েছে কাউন্সিলর বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়কে। আলিপুরদুয়ার জেলার ক্ষেত্রে এই দায়িত্ব পেয়েছেন বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। কোচবিহারে দায়িত্ব পেয়েছেন অভিজিৎ দে ভৌমিক।