ডবল ইঞ্জিন অসম থেকে বাংলায় আসছে জাল ওষুধ!

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: রাজ্যজুড়ে জাল ওষুধ নিয়ে তদন্ত চলছে। প্রকাশ্যে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, ডাবল ইঞ্জিন রাজ্য অসম থেকে বাংলায় জাল ওষুধ ঢুকেছে। ওষুধগুলো একেবারে আসলের মতোই। ড্রাগ কন্ট্রোলের আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, বাংলার বিভিন্ন জায়গায় অসমের একটি দালাল চক্র সক্রিয়। তারা চিকিৎসার জন্য রোগী নিয়ে আসে বর্ধমানে। সেই সুবাদে বর্ধমানের বেশ কয়েকটি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাদের সুসম্পর্ক রয়েছে। কেউ কেউ রীতিমতো নার্সিংহোমের বেড ভাড়া নিয়ে রেখেছেন। রোগী এনে সেখানে ভর্তি করানো হয়। অভিযোগ, দালালরা জাল ওষুধের ক্যারিয়ার হিসেবে কাজ করছে। বাংলার বিভিন্ন জায়গায় তাদের হাত ঘুরেই ভেজাল ওষুধ আসছে।
ওষুধের পাতায় থাকা কিউআর কোড স্ক্যান করলে আসল ও নকলের পার্থক্য বোঝা যায়। কিন্তু সবার পক্ষে তা দেখা সম্ভব নয়। জাল ওষুধের কারবারিরা সুযোগের ফায়দা তুলছেন পুরোদমে। প্রতিটি দোকানে সরকার ঘোষিত নিম্নমানের ওষুধের তালিকা ও বিক্রেতার লাইসেন্স সামনে ঝুলিয়ে রাখার কথা বলা হয়েছে। বর্ধমানের ওষুধ দোকানগুলির উপরে নজর রাখা হচ্ছে। নিয়ম না মানলে জরিমানা করা মনে বলেও খবর।
বর্ধমান শহরে ওষুধের বড় বাজার রয়েছে। বীরভূম, মুর্শিদাবাদ সহ দক্ষিণবঙ্গের আরও কিছু জেলার ব্যবসায়ীরা এখান থেকে ওষুধ কিনে নিয়ে যান। ফলে এমন বাজারের দিকে জাল ওষুধের কারবারিদের নজর ছিল। প্রশাসন তদন্তে নামায় এখন তারা অনেকটাই সতর্ক হয়ে গিয়েছে বলে খবর। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ বলেন, চিকিৎসকের পরামর্শমতো কোনও ওষুধ দিনের পর দিন খাওয়ার পরও কাজ না হলে ড্রাগ কন্ট্রোলে অভিযোগ জানানো যেতে পারেন। আধিকারিকরা তদন্ত করে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। অসমের মতো বিভিন্ন রাজ্য থেকেই নিম্নমানের বা জাল ওষুধ ঢুকেছে বলে জানা যাচ্ছে। অসমের দালাল চক্রের কাজকর্ম নিয়েও তদন্ত চলছে।