আজ নেতাজি ইন্ডোরে চাকরিহারাদের সঙ্গে বৈঠক মমতার, কী দিশা দেখাবেন মুখ্যমন্ত্রী?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: শীর্ষ আদালতের রায়ে রাতারাতি চাকরি হারিয়েছেন প্রায় সাড়ে পঁচিশ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। এত মানুষ এবং তাঁদের পরিবারের কী হবে? আজ, সোমবার নেতাজি ইন্ডোরে চাকরিহারা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের নিয়ে সভা ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকলের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি, কথা বলবেন। আশায় বুক বাঁধছেন হাজার হাজার চাকরিহারা। দিশা একটা কিছু নিশ্চয়ই দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। এতগুলো পরিবারকে ভেসে যেতে দেবেন না তিনি। ইতিমধ্যেই যোগ্যদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে রাজ্য সরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী পদক্ষেপ করবেন, অপেক্ষার তাঁরা।
রবিবার শহিদ মিনার সংলগ্ন মাঠে চাকরিহারা শিক্ষকদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছিল টোকেন। যোগ্যদের সংখ্যাটা প্রায় ১৯ হাজারের মতো, অর্থাৎ যাঁদের নাম সিবিআইয়ের তালিকাতে নেই। তালিকা মিলিয়ে টোকেন দেওয়া হয়। তা নিয়ে ইন্ডোরে প্রবেশ করা যাবে। টোকেন-এ লেখা রয়েছে বঞ্চিত শিক্ষক শিক্ষিকা। যাঁরা টোকেন বিলি করলেন, তাঁরা আবার নবান্ন অভিযানে নেই। অন্যদিকে, একদল চাকরিহারা শিক্ষকের বক্তব্য, কেউ কীভাবে টোকেন বিলি করে ঠিক করতে পারে কারা যাবেন, কারা যাবেন না? যদিও কোনও বিভাজন নেই। সরকারি অনুষ্ঠান। সদ্য চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ওই সংগঠনের তরফে খবর, রবিবার রাত থেকে ইন্ডোরে উপস্থিত থাকার জন্য দূরের জেলা থেকে শিক্ষকরা এসে উপস্থিত হয়েছে।
নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের বৈঠক যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নভাবে না হয়, তার জন্য সিপিএম ও বিজেপি গণ্ডগোল পাকানোর পরিকল্পনা করেছে। তৃণমূলের দাবি, ছোট ছোট গ্রুপ করে কিছু মানুষকে ইন্ডোরে প্রবেশ করানোর পরিকল্পনা নিয়েছে বিরোধীরা। বিশৃঙ্খলা তৈরির চক্রান্ত রয়েছে। রায়ের যে অংশ নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়েছে, তার ব্যাখ্যা আদালতের থেকে চাইতে পারে সরকার, এমন শোনা যাচ্ছে। তবে, নিয়োগ পরীক্ষার ব্যবস্থা যে দ্রুত সেরে ফেলা হবে, সে বিষয়ে সরকারের কোনও মহলেই সংশয় নেই। অনিয়মের অভিযোগে যাঁদের সুপ্রিম কোর্ট চিহ্নিত করেনি, নিয়োগের ক্ষেত্রে তাঁদের কীভাবে কনসেশন দেওয়া যায়, সে ভাবনা চলছে নবান্নের শীর্ষ স্তরে। চাকরিহারা শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মচারীরা রাজ্যের অভিভাবক কথা শোনার জন্য উদগ্রীব।