ঝাড়গ্ৰামে জুলজিক্যাল পার্কে দেখা মিলবে নতুন অতিথিদের

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ঝাড়গ্ৰামে, জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্কে দেখা মিলবে নতুন অতিথিদের। চিতাবাঘ ‘পলাশ’, ভাল্লুক ‘বল্লু’, ডায়মন্ড ডাভ, লাভ বার্ড ও ব্ল্যাক ভালচারের দেখা পাবেন পর্যটকদেরা। পার্কে সৃষ্টিশ্রী স্টলের উদ্বোধন হয়েছে। নববর্ষের প্রাক্কালে বন বিভাগের উপহারে উচ্ছ্বসিত জেলার মানুষ। জুলজিক্যাল পার্কে মাস খানেক আগে পূর্ণবয়স্ক একটি চিতাবাঘ ও ভাল্লুক বাইরে থেকে আনা হয়েছিল। এছাড়াও, নতুন প্রজাতির কিছু পাখি আনা হয়। পার্কে নতুন খাঁচা তৈরি করা হয়।
ঝাড়গ্রাম জুলজিক্যাল পার্কে একের পর এক বন্যপ্রাণী নিয়ে আসায় পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়ছে। মার্চ মাসে পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘ ‘পলাশ’কে আনা হয়েছিল। এতদিন চিতাবাঘটিকে জুলজিক্যাল পার্কে আলাদা করে রাখা হয়েছিল। বাঁকুড়া থেকে ভাল্লুক ‘বল্লু’কে উদ্ধার করা হয়। ডায়মন্ড ডাভ, লাভ বার্ড ও ব্ল্যাক ভালচারের দেখা মিলবে। সবুজ অরণ্যের মাঝে এই পার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। উদ্ধার করে আনা বন্যপ্রাণীদের সুশ্রুষা করা হচ্ছে এখানে। তাদের প্রজননও হচ্ছে। জুলজিক্যাল পার্ক থেকে তাদের রাজ্যের অন্য চিড়িয়াখানায় পাঠানো হচ্ছে।
গরমের সময় বন্যপ্রাণীদের জন্য বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে। গুড় জল, ওআরএস, শসা, তরমুজ, পেয়ারা ও অন্যান্য ফল দেওয়া হচ্ছে। খাঁচায় খড়ের ছাউনি দেওয়া হচ্ছে। গরমে মাংসাশী প্রাণীদের স্বাস্থ্যের বিষয়টি মাথায় রেখে প্রয়োজনমতো মাংস দেওয়া হয়। জুলজিক্যাল পার্কে এখন ১৬টি আলাদা প্রজাতির ১৮৭টি স্তন্যপায়ী, ১২টি আলাদা প্রজাতির ১৫৩টি সরীসৃপ, ১৮টি আলাদা প্রজাতির ৭৪টি পাখি রয়েছে। পাখিদের মধ্যে রয়েছে রেড মুনিয়া, গোল্ডেন ওরিওলে, গ্রিন বি-ইটার, ক্রোফেজেন্ট, পারপেল নাইট হেরন। পার্কে পর্যটকদের বসার জন্য জায়গা ছিল। এবার শেড দেওয়া বসার জায়গা তৈরি হয়েছে। সৃষ্টিশ্রী স্টলে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের হাতের তৈরি নানা জিনিস পাওয়া যাবে এই পার্ক ধীরে ধীরে পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠেছে।