প্ররোচনায় শিক্ষকদের পা না দেওয়ার বার্তা মুখ্যসচিবের, কসবার লাঠিচার্জ নিয়ে তদন্ত শুরু

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কসবায় চাকরিহারা শিক্ষকদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জের অভিযোগ নিয়ে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। তাঁর বক্তব্য, ‘মুখ্যমন্ত্রী ভরসা দিয়েছিলেন ৭ তারিখে চাকরিহারাদের পাশে আছেন। আমরা তাঁদের পাশে থাকার সমস্তরকম চেষ্টা করছি। ব্যবস্থা করছি। তা সত্ত্বেও কারও প্ররোচনায় হোক বা কিছু, এমন ঘটনা ঘটছে। এটা বাঞ্ছনীয় নয়।’
শিক্ষকদের পাশে রয়েছে সরকার, এই আশ্বাস দিয়ে তিনি শীর্ষ আদালতে রিভিউ পিটিশন দাখিল করার কথা ঘোষণা করেন। জানিয়ে দেন, সেই কাজ চলছে। আইনানুগ ভাবে এগনো হচ্ছে। পিটিশনটি দাখিল করা হবে খুব শীঘ্রই। এই প্রক্রিয়াকালে সকলকে শান্ত থাকার বার্তা দেন তিনি।
বুধবার বিকেলে লালবাজারের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, “আজ কসবা ডিআই অফিসের বাইরে ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রেক্ষিতে স্পষ্ট ভাবে জানানো হচ্ছে যে, প্রথমে একদল বিক্ষুব্ধ জনতা, বিনা উস্কানিতে পুলিশকর্মীদের উপর হামলা চালায় এবং হিংসাত্মক আচরণ করে, যার মধ্যে মহিলা পুলিশকর্মীরাও ছিলেন। চার জন পুরুষ পুলিশকর্মী এবং দু’জন মহিলা পুলিশকর্মী আহত হয়ে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।” বিবৃতিতে আরও লেখা হয়েছে, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং আরও ক্ষয়ক্ষতি ও আহতের ঘটনা রোধ করতে পুলিশ বাধ্য হয়ে হালকা বলপ্রয়োগ করে। এই ঘটনার তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে।”
নবান্নে মুখ্যসচিবের সঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনার (সিপি) মনোজ বর্মা কসবার ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, “পুলিশের কাছে আগে থেকে খবর ছিল না। বিনা উস্কানিতেই পুলিশের উপর হামলা হয়েছে। আমাদের ছ’জন আহত। এক জন বেশি আহত। পুলিশের লাথি মারার যে ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যে ভিডিয়োটা দেখানো হচ্ছে, তার আগেও কিছু রয়েছে। সেটাও দেখা উচিত। আমরা দেখছি।”
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘যোগ্য’দের পাশে তিনি থাকবেন। কিন্তু তার পরও চাকরিহারাদের বিক্ষোভে উত্তাল গোটা রাজ্য। বুধবার সকালে চাকরিহারাদের একাংশ জড়ো হন কসবায় ডিআই অফিসের সামনে। তবে তাঁরা যাতে ভিতরে প্রবেশ করতে না-পারেন, সেই জন্য আগে থেকেই ব্যবস্থা করে রেখেছিল পুলিশ। ব্যারিকেডের পাশাপাশি ডিআই অফিসের গেটে তালা লাগানো ছিল। কিন্তু বেলা গড়াতে দেখা গেল ওই তালা ভেঙে দপ্তরের ভিতরে ঢুকে পড়েন চাকরিহারারা। অফিসে ছিলেন না স্কুল পরিদর্শক। পুলিশ প্রথমে বিক্ষোভকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করে। তবে তালা ভেঙে ডিআই অফিসে ঢুকলেই তাঁদের আটকায় পুলিশ।