লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকায় কেনাকাটা, পয়লা বৈশাখের আগে গ্রামীণ মহিলাদের মুখে স্বস্তির হাসি

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বাজারে বাজারে চলছে বর্ষ শেষের ‘চৈত্র সেল’। বিশেষ ছাড়ে নতুন পোশাক কেনার হিড়িক পড়েছে। এমন সময় রাজ্য সরকারের ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প যেন কর্মহীন ও নিম্নআয়ের মহিলাদের ভরসার বাতিঘর হয়ে উঠেছে। দিনহাটার চওড়াহাট বাজারেও চলছে চৈত্র সেল। জামাকাপড়, চটি-জুতোর দোকানগুলি দিচ্ছে ২০-৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়। আর এই ছাড়ের সুযোগেই বাজারমুখী হচ্ছেন বহু মহিলা। কারণ একটাই, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প থেকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে টাকা।
স্বামী পরিযায়ী শ্রমিক। সংসারে চাহিদা অনুযায়ী রোজগার আসে না। বছরে একবার জামাই ও নাতিকে নিয়ে বাড়ি আসে মেয়ে। তাদের জন্য নতুন জামা কিনতেই দিনহাটার চওড়াহাট বাজারে আসা। পছন্দ করে কিছু জামাকাপড়ও কেনেন তিনি। জ্যোৎস্না বর্মনেরও চওড়াহাট বাজারে আসার কারণ একই। তাঁর স্বামী রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। দুই সন্তানকে নিয়ে চারজনের সংসার। ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করে। পয়লা বৈশাখে ওদের নতুন জামা না কিনে দিলে মন খারাপ করে। কিন্তু স্বামীর রোজগারে এ সময় জামাকাপড় কেনা সম্ভব নয়।
এপ্রিলের শুরুতেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকাটা অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। আর তখনই মুখে একটু হাসি ফিরে আসে, বলেন জ্যোৎস্না। সেই টাকাতেই ছেলে-মেয়েদের জামাকাপড় এদিন কেনেন তিনি। এই ভরা গরমেও দোকানগুলিতে ঠাসা ভিড়। শাড়ি, সালোয়ার, ছেলেমেয়ের জামা, কুর্তা সব কিছুর উপরই মিলছে ২০-৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়। ব্যবসায়ীরাও খুশি, কারণ বিক্রি হচ্ছে প্রচুর। চৈত্র সেলের ছাড়, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা আর পয়লা বৈশাখের প্রস্তুতি মিলিয়ে গ্রামীণ মহিলাদের মুখে যেন একটু স্বস্তির হাসি ফুটেছে।