বিধানসভায় পাশ হওয়া ২৩টি বিল রাজভবনে আটকে, সরব রাজ্য সরকার

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সুপ্রিম কোর্ট তামিলনাড়ুর রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই চাপ বাড়ানো শুরু করেছে রাজ্য সরকার। তারা প্রশ্ন তুলছে, রাজ্য বিধানসভায় পাশ হওয়া এত বিল রাজভবনে কেন আটকে?
স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ২৩টি বিল বিধানসভায় পাস হওয়ার পর রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হয়েছিল। সেগুলি রাজভবনেই আটকে রয়েছে। এই খবর সামনে আসার পরই রাজভবনের তরফে বিবৃতি দিয়ে বিলগুলির বর্তমান অবস্থা জানানো হয়। তাতে বলা হয়, ২০২৩ সালে রাজভবনকে জানানো হয়েছিল যে, মোট ২২টি বিল নাকি রাজভবনে ‘অনিষ্পন্ন’ অবস্থায় রয়েছে। এই খবর প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রাজ্যপাল বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন। ওই বিলগুলির মধ্যে পাঁচটি বিলে তিনি সম্মতি দিয়েছেন। প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে দুটি বিল রাজ্য সরকারের কাছে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
রাজভবনের বিবৃতিতে দাবি, ২০২৪ এবং ২০২৫ সালে রাজ্যপাল মোট ১১টি বিল রাষ্ট্রপতির বিবেচনার জন্য সংরক্ষিত রেখেছেন। সেগুলির মধ্যে ১০টি বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত এবং একটি ‘অপরাজিতা বিল’—রাষ্ট্রপতির বিবেচনার জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে রাজ্য সরকারের সুপারিশ অনুযায়ীই।
রাজভবনের এই বিবৃতি আসার পর বিষয়টিকে এত সহজভাবে দেখছে না বিধানসভা। স্পিকার বলেন, আমাদের বিধানসভার রেকর্ড অনুযায়ী ২৩টি বিল রাজভবনে পাঠানো হয়েছিল। সেগুলি সম্পর্কে পরবর্তী ক্ষেত্রে আমাদের কাছে আর কোনও বার্তাই রাজভবন থেকে আসেনি। পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, বিধানসভায় পাস হওয়ার পর বিলগুলি রাজ্যপাল অনুমোদন দেবেন, এটাই কাম্য। কিন্তু সংবিধানের রীতিনীতি অনুযায়ী তিনি কখনও রাজ্য সরকারের কোনও আধিকারিককে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন না। তাঁর কোনও মতামত থাকলে রাজ্যপাল তা রাজ্য সরকারকেই জানাতে পারেন। কিন্তু বিল আটকে রাখার ক্ষমতা তাঁর নেই। আমার তো মনে হয়, রাজ্যপাল পদটিই অপ্রয়োজনীয়।
রাজভবনে যে বিলগুলি আটকে রয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে, গণপিটুনি সংক্রান্ত বিল, হাওড়া ও বালি পুরসভাকে একত্রিত করা সংক্রান্ত বিল, মুখ্যমন্ত্রীকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য করা সংক্রান্ত আটটি বিল। এবং মহাগুরুত্বপূর্ণ অপরাজিতা বিল।