সংসদীয় কমিটিকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে ডিজিটাল ডেটা প্রোটেকশন আইনে সংশোধনী আনা হয়েছে, অভিযোগ বিরোধীদের

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: যৌথ সংসদীয় কমিটিকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে ডিজিটাল ডেটা প্রোটেকশন আইনে একটি সংশোধনী আনা হয়েছে।, বৃহস্পতিবার ইন্ডিয়া জোটের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের পক্ষ থেকে বলা হয় বিরোধী নেতাদের স্বাক্ষর করা একটি স্মারকলিপি সরকারকে দেওয়া হবে। তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের কাছে আবেদন করা হবে, যাতে এভাবে তথ্য জানার অধিকার আইনকে ধ্বংস করা না হয়। বিরোধীদের পক্ষ থেকে কংগ্রেসের গৌরব গগৈ বলেন, তথ্য জানার অধিকার আইনের ৪৪(৩) নং ধারাকে বাতিল করা হোক। এই ধারা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ডিজিটাল ডেটা প্রোটেকশন বিলে। এই ধারার মাধ্যমে আদতে পরোক্ষে তথ্য জানার অধিকার আইনের ৮(১) নং ধারাকেই অগ্রাহ্য তথা খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।
তথ্য জানার অধিকার আইনে বলা হয়েছে, ব্যক্তিগত কোনও তথ্য যদি কোনওভাবে বৃহত্তর প্রেক্ষিতে জনস্বার্থে বিরূপ প্রভাব ফেলে, তাহলে সেই তথ্য প্রকাশ করতে হবে। কিন্তু ডিজিটাল ডেটা প্রোটেকশন আইনের ওই ধারা বদলে বলা হয়েছে, ব্যক্তিগত কোনও তথ্য প্রকাশ করা যাবে না। অর্থাৎ জনস্বার্থকে ক্ষুণ্ণ করলেও, তথ্য প্রকাশ করা যাবে না। গগৈ বলেন, এই যে বিহারে নিয়ম করে প্রতিদিনই একটি করে সেতু ভেঙে পড়ছে, তার অর্থ হল এই বিল পাশ হয়ে গেলে তথ্য জানার অধিকার আইনে কেউ যদি জানতে চায় যে, সেতু নির্মাণের টেন্ডার অথবা কন্ট্রাক্ট কোন ঠিকাদার পেয়েছে বা কতগুলি ঠিকা সে পেয়েছে, এসব তথ্য দেওয়া হবে না? কারণ তা ওই ঠিকাদারের ব্যক্তিগত তথ্য? অর্থাৎ দুর্নীতি গোপন করার একটি অস্ত্র হতে চলেছে এই ডেটা প্রোটেকশন বিল।
বিরোধীদের বক্তব্য, বর্তমানে তথ্য জানার অধিকার আইন, একটি বিকল্প সাংবাদিকতা এবং সামাজিক অ্যাক্টিভিজমের জন্ম দিয়েছে। বহু দুর্নীতি অনিয়ম এই ভাবে ফাঁস হচ্ছে। সেটা আটকাতে মরিয়া কেন্দ্রীয় সরকার।
এই অভিযোগকে নস্যাৎ করেছেন তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এদিন জয়রাম রমেশকে দেওয়া চিঠিতে মন্ত্রী বলেছেন, ডিজিটাল ডেটা প্রোটেকশন আইন কোনওভাবেই তথ্য জানার অধিকার আইনকে স্পর্শ করছে না। বরং এই দুই আইন ভারসাম্য নিয়েই পরস্পরের সমন্বয় রেখে চলবে। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে স্পষ্ট বলা হয়েছে ব্যক্তিগত তথ্য রক্ষার অধিকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। সংবিধানের ২১ নং ধারা অনুযায়ী এই অধিকার রক্ষা করতেই হবে। এই রায়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই ডেটা প্রোটেকশন আইন তৈরি হয়েছে।