মতিচুরের লাড্ডু জিআই স্বীকৃতি পেতেই পিয়াল ফলের বীজের খোসা ছাড়ানোর মেশিন বসানোর উদ্যোগ শুরু

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মল্লরাজাদের আমলে রাজভোগ হিসেবে প্রচলিত ছিল মতিচুর। আগে এলাকায় জঙ্গল বেশি ছিল। ওই সময় প্রচুর পিয়াল গাছ পাওয়া যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা তার বীজ সংগ্রহ করে ঢেঁকিতে পেষাই করে বেসন তৈরি করতেন। ওই বেসন দিয়ে আকারে বোঁদের চেয়ে ছোট এবং মিহিদানার চেয়ে সামান্য বড় মতিচুর তৈরি করা হতো। সেই মতিচুর দিয়ে তৈরি হয় লাড্ডু। এখনও বিষ্ণুপুরের গুটি কয়েক ব্যবসায়ী মতিচুরের লাড্ডু তৈরি করেন। কিন্তু এলাকায় পিয়াল গাছ অপ্রতুল হওয়ায় ঝাড়খণ্ড থেকে তা আমদানি করতে হয়। তাতে খরচ বেশি পড়ে। তবে গত কয়েকবছর ধরে বিষ্ণুপুরের ঐতিহ্যমণ্ডিত মতিচুরের লাড্ডুর জিআই স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য ব্যবসায়ীরা চেষ্টা চালাচ্ছিলেন।
বিষ্ণুপুরের মতিচুরের লাড্ডু জিআই স্বীকৃতি পেতেই এর মূল উপকরণ পিয়াল ফলের বীজের খোসা ছাড়ানোর মেশিন বসাতে উদ্যোগী হয়েছে মহকুমা প্রশাসন। মঙ্গলবার শহরের মিষ্টি ব্যবসায়ীরা পিয়াল ফলের বীজ বাইরে থেকে আমদানি করতে বাড়তি খরচের কথা মহকুমা শাসকের কাজে জানান। এরপরেই মেশিনের খোঁজ শুরু হয়। ওই মেশিন মহকুমা শাসকের অফিস চত্বরে কোনও একটি ঘরে বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। ব্যবসায়ীরা নিজেদের চাহিদা মতো পিয়াল ফল এনে ওই মেশিনে তার খোসা ছাড়াতে পারবেন। বনদপ্তরের মাধ্যমে এলাকার জঙ্গলে পিয়াল গাছ লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
বিষ্ণুপুর মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বেচু দত্তমোদক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বর্তমানে পিয়াল বীজের বেসন বাইরে থেকে আমদানি করতে হয়। ঝাড়খণ্ডের কিছু কিছু জায়গায় তা পাওয়া যায়। মতিচুরের লাড্ডুর গুণমান এবং সাধারণের নাগালের মধ্যে দাম রাখতে গেলে পিয়াল বীজের সহজলভ্যতা এবং খোসা ছাড়ানোর মেশিনের প্রয়োজন। আমাদের প্রস্তাবে মহকুমা প্রশাসন সাড়া দিয়েছেন।