পিংলার মতো ডেবরার পটশিল্পের খ্যাতিও ছড়িয়ে পড়বে বলে স্বপ্ন দেখছে বাঘাগেড়িয়া গ্রাম

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: রাজ্য সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে মাটির লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে(টাকা জমানোর ঘট) পটচিত্র এঁকে বাজার মাত করে দিচ্ছেন ডেবরা ব্লকের গোলগ্রাম পঞ্চায়েতের বাঘাগেড়িয়া গ্রামের মহিলারা। ডেবরার শিল্পীরা জানাচ্ছেন, এই গ্রামের উপর প্রচারের আলো না পড়ায় পর্যটক আসে না, বিক্রিবাটাও সেভাবে হয় না। তবে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে হওয়া বিভিন্ন ধরনের মেলা সেই অভাব খানিকটা হলেও পুষিয়ে দেয়। এবছরের শুরুর দিকে কলকাতায় হওয়া মেলায় ভালোই বিক্রি হয়েছে।
ডেবরা থেকে বেশ কয়েক কিলোমিটার দূরে এই পটগ্রাম। এই গ্রামের বাসিন্দারা বংশপরম্পরায় পটশিল্পের সঙ্গে যুক্ত। প্রতিভা থাকলেও একসময় এই গ্রামের বাসিন্দারা আর্থিক ভাবে পিছিয়েছিলেন। বর্তমান সময়ে ছবিটা বদলেছে। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে হওয়া বিভিন্ন মেলায় গিয়ে লক্ষ্মীলাভ হচ্ছে শিল্পীদের। জানা গিয়েছে, মেলায় এই গ্রামের বাসিন্দাদের হাতেই আঁকা দেবদেবীর ছবি, কাহিনি কিনতে ভিড় জমান সাধারণ মানুষ। শিল্পীদের হাতের ছোঁয়ায় টিশার্ট, ওড়না থেকে শুরু করে শাড়িতে ফুটে ওঠে পটচিত্র। পাশাপাশি হাতপাখা, চায়ের কাপ থেকে জলের বোতল, সবেতেই এই শিল্পকলার ছাপ রাখছেন গ্রামবাসীরা।এক পটশিল্পী বলেন, জিনিসপত্রের দাম খুব বেড়ে গিয়েছে। তাও মানুষের সাধ্যের মধ্যে পটশিল্প বিক্রি করি। আশা করছি পিংলার মতো এখনকার পটশিল্পের খ্যাতিও ছড়িয়ে পড়বে।