হনুমান জয়ন্তীতে সাম্প্রদায়িক হিংসা ডবল ইঞ্জিন মধ্যপ্রদেশের গুণায়, পুরোহিতকে মারধরের অভিযোগ পদ্ম বিধায়কের পুত্রের বিরুদ্ধে

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: রামনবমীর পর হনুমান জয়ন্তীতেও মসজিদের সামনে আস্ফালন, দাপাদাপি চালাল হিন্দুত্ববাদীরা। যার জেরে সাম্প্রদায়িক অশান্তি ছড়াল এবার মধ্যপ্রদেশের গুণায়।
সংখ্যালঘু সংগঠনগুলির দাবি, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিজেপি কাউন্সিলর সংখ্যালঘু এলাকা দিয়ে শোভাযাত্রা নিয়ে যাচ্ছিলেন। স্থানীয় মসজিদের সামনে গিয়ে শোভাযাত্রা থেমে যায়। শুরু হয় তারস্বরে ডিজে বাজানো। চলে ধর্মীয় স্লোগান। মসজিদে ভিড় জমান সংখ্যালঘুরা। দুই পক্ষের মধ্যে চাপা উত্তেজনার পরিবেশ শুরু হয়। অভিযোগ, মসজিদ ও শোভাযাত্রা থেকে পাথর ছোড়াছুড়ি চলে দীর্ঘক্ষণ। বেশ কয়েকজন আহত হন। হিংসার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনার প্রতিবাদে হিন্দু সেনার কর্মীরা পথে নামলে ফের সাম্প্রদায়িক অশান্তি ছড়ায়। গুণার বিভিন্ন এলাকায় পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। গুণা শহর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
অন্যদিকে, মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে বিজেপি বিধায়কের ছেলের বিরুদ্ধে চামুণ্ডা দেবীর মন্দিরের পুরোহিতকে মারধর করার অভিযোগ উঠল। মন্দির বন্ধের সময়, বিজেপি বিধায়কের পুত্র ও তার দলবলকে ঢুকতে না দেওয়ায় গন্ডগোলের সূত্রপাত বলে জানা যাচ্ছে।
জানা যাচ্ছে, বিজেপি বিধায়ক গোলু শুক্লার পুত্র রুদ্রাক্ষ শুক্লা রাত একটা নাগাদ মন্দির চত্বরে চড়াও হন। সঙ্গে ছিল দশ-বারোটি গাড়ি। ততক্ষণে মন্দিরে তালা পড়ে গিয়েছে। রুদ্রাক্ষ ও তার সঙ্গীদের মন্দিরের সামনে ঘোরাফেরার একটিও ভিডিও সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি দৃষ্টিভঙ্গি।
অভিযোগ, বিজেপি বিধায়কের পুত্রের এক সঙ্গী জিতেন্দ্র রঘুবংশী দাবি করেন, মন্দিরের দরজা খুলতে হবে। তা না মানায় পুরোহিত উপদেশ নাথকে মারধর করেন তিনি। ইতিমধ্যেই মামলা দায়ের হয়েছে। যদিও অভিযোগপত্রে রুদ্রাক্ষের নাম নেই। যা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। পুরোহিত উপদেশের দাবি, থানায় অভিযোগ দায়েরের পরই তিনি হুমকি পেয়েছেন। এফআইআর তুলে নেওয়ার জন্য তাঁকে শাসানো হচ্ছে।