ভিন রাজ্যের ছবি দেখিয়ে বাংলাকে বদনামের চেষ্টা BJP-র! কী বলছে পুলিশ?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে সুতি, ধুলিয়ান সহ মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন অংশে অশান্তি ছড়িয়েছে। এই ঘটনাকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক বিষ ছড়াতে মাঠে নেমে পড়েছে বঙ্গ বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের তরফ থেকে সামাজ মাধ্যমে একাধিক ছবি মুর্শিদাবাদের বলে প্রচার করা হচ্ছে। সেগুলি আসলে ভুয়ো। অভিযোগ, অন্য রাজ্যের ছবি দেখিয়ে মুর্শিদাবাদের অশান্তির মিথ্যা প্রচার করছে বিজেপি। এমনই পালটা দাবি করা হয়েছে রাজ্য পুলিশের তরফে। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের ফেসবুক পেজ থেকে একই বার্তা দেওয়া হয়েছে।

দেখা যাচ্ছে, উত্তরপ্রদেশের সিএএ আন্দোলন, ম্যাঙ্গালোর, লখনউ এনআরসির প্রতিবাদ, সিএএ প্রতিবাদের ছবি মুর্শিদাবাদের বলে বিজেপি প্রচার করছে। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ জানান, বিজেপি অন্য রাজ্যের গন্ডগোলের ছবি দেখিয়ে মিথ্যা প্রচার শুরু করেছে। বিজেপি নেতারা তাঁদের সামাজিক মাধ্যমে যে ছবিগুলো পোস্ট করেছেন, সেগুলো মুর্শিদাবাদের ঘটনার নয়। ছবিগুলো চিহ্নিত হয়েছে। একটা লখনউয়ের এনআরসির প্রতিবাদের ছবি, বাড়িতে আগুন লাগানোর আরেকটা ছবি জলন্ধরের। কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশের অন্য ঘটনার ছবিও ছড়ানো হয়েছে। বিজেপির প্ররোচনায় পা না দেওয়ার জন্য বাংলার মানুষের কাছে আবেদন করেছে তৃণমূল।





বিএসএফের একাংশের সাহায্যে বহিরাগতদের এনে অশান্তি ছড়ানো হচ্ছে। এই অভিযোগও করেছে তৃণমূল। মুর্শিদাবাদের অশান্তির নেপথ্যে বহিরাগত শক্তি রয়েছে বলে দাবি করছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের অভিযোগের তির বিজেপির দিকে। তৃণমূলের অভিযোগ, বাইরে থেকে লোক এনে বিজেপি বাংলার সাম্প্রদায়িকতা ছড়াতে চাইছে। তাতে সাহায্য করেছে বিএসএফের একাংশ। মুর্শিদাবাদের হিংসার নেপথ্যে অন্য বহিরাগত শক্তির উপস্থিতির সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলেই গোয়েন্দা সূত্রে খবর।



রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার জানান, মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সাধারণ মানুষকে গুজবে কান না-দেওয়ার অনুরোধ করেছেন তিনি। জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ বলেন, “অশান্তির কারণে যাঁরা ঘর ছেড়েছেন, তাঁদের সব রকম সাহায্য করছে পুলিশ। তাঁরা ঘরে ফিরে আসতে চাইলে সব রকম ভাবে সাহায্যের জন্য প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ।”