গ্রামীণ ভারতে কমছে মহিলাদের কর্মসংস্থান, খোদ কেন্দ্রের রিপোর্টে উদ্বেগের ছবি

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ভারতের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হল গ্রামীণ অর্থনীতি। গ্রামীণ অর্থনীতিকে সচল রেখেছে নারীদের অংশগ্রহণ। কৃষি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, স্বনিযুক্তি প্রকল্প, মৎস্যচাষ, হস্তশিল্পের মূল চালিকাশক্তি হল নারী কর্মীরা। কিন্তু নারীকর্মীর লাগাতার সংখ্যাহ্রাস উদ্বেগ বাড়িয়েছে মোদী সরকারের। গ্রামীণ ভারতের নারীদের কর্মসংস্থান অর্থাৎ নারীকর্মীর অংশিদারিত্ব ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ছিল সাড়ে ৪১ শতাংশ। ২০২৫-২৫ অর্থবর্ষে ৪০ শতাংশে নেমে এসেছে। কেন্দ্রের পরিসংখ্যান ও প্রকল্প রূপায়ণ মন্ত্রকের রিপোর্টেই এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে।
রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ২০২৩-র তুলনায় ২০২৪ সালে বেকারত্ব বেড়েছে। শহরের তুলনায় গ্রামীণ ভারতে বেকারত্বের হার বেশি। ক্রমে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে যোগদানের আবেদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই পরিসংখ্যানই গ্রামাঞ্চলে বেকারত্ব বৃদ্ধির অন্যতম প্রমাণ। লেবার ফোর্স পার্টিসিপেশন রেট রিপোর্ট অনুযায়ী, এক বছরে গ্রাম ও শহরে কর্মীর হার কমেছে। গ্রামীণ এলাকায় মহিলা কর্মীর সংখ্যা বেশি কমেছে। একজন নারী বা পুরুষ, সারা বছরের মধ্যে কতদিন কোনও না কোনও কাজের মধ্যে যুক্ত থাকেন, অর্থাৎ কত দিন কোনও নির্দিষ্ট পেশা থেকে আয় করেন তিনি; তা খুঁজেছেন সমীক্ষকেরা। সাপ্তাহিক, মাসিক, বার্ষিক পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে পিরিয়ডিক লেবার সার্ভে করা হয়। নারী ও পুরুষ কর্মীর অনুপাত ভারসাম্যযুক্ত না হলে আর্থিক বৃদ্ধিহারে প্রভাব পড়ে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এবং অর্থমন্ত্রকের উদ্বেগের কারণ হল, কেন গ্রামীণ ভারতে ক্রয় ক্ষমতা এবং ভোগ্য পণ্য ক্রয় প্রবণতা কমছে। গ্রামাঞ্চলে পণ্য বিক্রি না হলে অর্থনীতির চাকা থেমে যায়। সামগ্রিক আর্থিক বৃদ্ধিহার ক্ষতির সম্মুখীন হয়। টু হুইলার, ট্রাক্টর, সাইকেল গ্রামীণ অর্থনীতির তিন প্রধান চালিকাশক্তির বিক্রি থমকে গিয়েছে বহুদিন। মহিলাদের ক্ষেত্রে সাইকেল এবং স্কুটি ক্রয় অন্যতম মানদন্ড হিসেবে দেখা হয়। সেই প্রবণতা কমেছে হাল আমলে। কারণ হিসাবে উঠে আসছে, নারী শক্তির কাজের যোগদানের প্রবণতা থমকে যাওয়া।