হার বাঁচাতে কি কালীগঞ্জে উপনির্বাচন স্থগিতের আর্জি BJP সাংসদ জগন্নাথের?

একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে বাংলায় একটাও উপ-ভোট জিততে পারেনি বিজেপি। একের পর এক হার ধাক্কা দিয়েছে গেরুয়া শিবিরকে, লোকসভা আসন কমে গিয়েছে। এমন অবস্থায় আরও এক বিধানসভা নির্বাচন দোরগোড়ায়! তার আগে কি হারের কাঁটা এড়াতে চাইছে বিজেপি? তাই কি কালীগঞ্জে উপনির্বাচন স্থগিতের আর্জি জানালেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার?
কালীগঞ্জের বিধায়ক প্রয়াত হয়েছেন। কানাঘুষো শুরু হয়েছে এই বিধানসভার উপনির্বাচন নিয়ে। সরকারিভাবে ঘোষিত হয়নি কিছুই। তড়িঘড়ি উপনির্বাচন স্থগিত চেয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। পড়শি কেন্দ্রের উপনির্বাচন নিয়ে বিজেপি সাংসদের এমন পদক্ষেপকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি জোড়াফুল শিবির। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, কালীগঞ্জে বিজেপি অস্তিত্বহীনতায় ভুগছে। হেরে যাবে বলেই এই সব চিঠিচাপাটি করছে। উপনির্বাচন হলে পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে তৃণমূল।
মঙ্গলবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে দেওয়া চিঠিতে কালীগঞ্জের উপ নির্বাচন আপাতত ‘স্থগিত’ করে আগামী বছর একসঙ্গে নির্বাচনের আর্জি জানিয়েছেন বিজেপি সাংসদ। কেন স্থগিত চাইছেন বিজেপি সাংসদ? তৃণমূলের একাংশের দাবি, নির্বাচনে হার নিশ্চিত জেনেই নির্বাচন স্থগিত করার আর্জি জানাচ্ছেন বিজেপি সাংসদ।
প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারিতে অসুস্থতাজনিত কারণে কালীগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক নাসিরুদ্দিন আহমেদের মৃত্যু হয়। গত লোকসভা ভোটে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র ৩৪ হাজার ভোটে লিড নেন কালীগঞ্জ বিধানসভা এলাকা থেকে। ভোট হলে কালীগঞ্জে বিজেপি ধারাশায়ী হবেই বলে মত তৃণমূলের। তৃণমূলের দাবি, বিধানসভা ভোটের আগে উপনির্বাচনে বিজেপি মুখ থুবড়ে পড়লে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারে তাই নির্বাচন ঠেকানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন জগন্নাথ।